আবারও উত্তরপ্রদেশ। শ্যালিকার প্রেমে মগ্ন হয়ে উঠেছিলেন স্বামী। আর সেই সম্পর্কে পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন স্ত্রী। তাঁকে খুন করার অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। শুধু তা-ই নয়, পুলিশকে বিভ্রান্ত করতে স্ত্রীর দুর্ঘটনায় মৃত্যুর গল্পও ফেঁদেছিলেন। তবে শেষরক্ষা হয়নি। অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বিজনৌরের ঘটনা।
পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনাটি ৮ মার্চের। অভিযুক্তের নাম অঙ্কিত কুমার। জেরায় পুলিশ জানতে পেরেছে, শ্যালিকার প্রেমে পড়েছিলেন অঙ্কিত। তাঁদের মধ্যে দীর্ঘ দিন এই সম্পর্ক চলছিল। বিষয়টি অঙ্কিতের স্ত্রী কিরণ জানতে পারার পর থেকেই অঙ্কিতের সংসারে একটা টানাপড়েন শুরু হয়। নিত্য দিন কিছু না কিছু নিয়ে অশান্তি লেগেই থাকত। অঙ্কিতও সুযোগ খুঁজছিলেন কী ভাবে স্ত্রীকে পথ থেকে সরিয়ে দেওয়া যায়। তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, খুনের জন্য ছক করেছিলেন অঙ্কিত। কিন্তু সেটিকে যাতে খুন বলে মনে না হয়, সেই পরিকল্পনাও করেছিলেন।
আরও পড়ুন:
পুলিশ সূত্রে খবর, গত ৮ মার্চ স্ত্রীকে তাঁর বাপেরবাড়িতে দিয়ে আসার পরিকল্পনা অঙ্কিত। সেই মতো ওই দিন দুপুরে বাইকে করে স্ত্রীকে নিয়ে বার হন। রাজপুরা পেট্রল পাম্পে বাইকে তেল ভরানোর জন্য স্ত্রীকে নামিয়ে দেন। তাঁকে বলেন, রাস্তা ধরে হেঁটে এগিয়ে যেতে। তেল ভরিয়ে তার পর তিনি স্ত্রীকে বাইকে আবার তুলে নেবেন। স্বামীর কথা শুনে কিরণ রাস্তা দিয়ে হাঁটতে শুরু করেন। অঙ্কিত তখন পাম্পে পেট্রল ভরাচ্ছিলেন। সেই সময় একটি গাড়ি পিছন থেকে এসে কিরণকে পিষে দিয়ে চম্পট দেয়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় কিরণের। তার পর এই ঘটনাকে দুর্ঘটনা হিসাবে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন অঙ্কিত। কিন্তু তদন্ত শুরু করতেই আসল ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। সিসিটিভি ফুটেজ এবং স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ বেশ কিছু তথ্য সংগ্রহ করে। সন্দেহের ভিত্তিতে অঙ্কিতকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। সেই সময়েই পুলিশের কাছে ঘটনাটি স্বীকার করেন অঙ্কিত। জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।
পুলিশ সূত্রে খবর, অঙ্কিতের সঙ্গে কিরণের বিয়ে হয়েছিল পাঁচ বছর আগে। কিন্তু তাঁদের কোনও সন্তান হয়নি। এর মধ্যেই শ্যালিকার প্রেমে পড়েন অঙ্কিত। তাঁকে বিয়ের করার সিদ্ধান্তও নেন। কিন্তু শ্যালিকা বারণ করে দেন। স্ত্রী শ্যালিকাকে বিয়ে করার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছেন, তাই তাঁকে রাস্তা থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেন বলে অভিযোগ।