কুম্ভে একসঙ্গে স্নান সারেন। দু’জনের একসঙ্গে ঘোরা, খাওয়াদাওয়া, এমনকি স্নানের ছবি এবং ভিডিয়োও আপলোড করেন সমাজমাধ্যমে। তার পরই হোটেলের ঘরে স্ত্রীকে খুন করে বাড়ি ফিরে আসেন যুবক। বাড়ি ফিরে পরিবারের কাছে দাবি করেন, মেলায় হারিয়ে গিয়েছে বৌ। শুধু তা-ই নয়, এই দাবিকে বিশ্বাসে পরিণত করার জন্য থানায় গিয়ে নিখোঁজ ডায়েরিও করেন যুবক। তবে শেষরক্ষা হয়নি।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তের নাম অশোক কুমার। তিনি দিল্লির ত্রিলোকপুরীর বাসিন্দা। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে কুম্ভে যান অশোক। বাড়িতে বলে গিয়েছিলেন, পুণ্যস্নান সেরে আশপাশের দর্শনীয় স্থানগুলি দর্শন করে বাড়ি ফিরবেন। কিন্তু যে দিন বাড়ি ফেরার কথা ছিল, তার আগেই ফিরে এসেছিলেন অশোক। সঙ্গে স্ত্রী ছিল না। তাঁকে যখন প্রশ্ন করা হয়েছিল, বৌ কোথায়? অশোক দাবি করেন, মেলায় হারিয়ে গিয়েছেন।
আরও পড়ুন:
অশোক একা বাড়িতে ফেরায় তাঁর পুত্রের সন্দেহ হয়। সে তার মামাকে ফোন করে বিষয়টি জানায়। বাড়িতে যখন বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছিল, ২১ ফেব্রুয়ারি প্রয়াগরাজ থেকে পুলিশের ফোন আসে কুমার পরিবারের কাছে। সেখানে তাঁদের আসতে বলা হয়। খবর পেয়েই প্রয়াগরাজে যান অশোকের শ্যালক। তাঁকে এক মহিলার দেহ শনাক্ত করার জন্য ডাকা হয়। সেখানে গিয়ে অশোকের শ্যালক দেখেন তাঁর দিদির দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। হোটেল থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। প্রয়াগরাজের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার অভিষেক ভারতী জানিয়েছেন, যে হোটেলে অশোক উঠেছিলেন সেখানে কোনও প্রমাণপত্র দেননি। ওই হোটেল থেকেই ফোন করে জানানো হয়, এক মহিলার দেহ উদ্ধার হয়েছে। অশোকের শ্যালক খুনের অভিযোগ দায়ের করার পরই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।