(বাঁ দিকে) কালো রঙের পোশাকে বরের আত্মীয়কে খুঁটিতে বাঁধা হয়েছে। (ডান দিকে) যুবককে মারধর গ্রামবাসীদের। ছবি: সংগৃহীত।
মত্ত অবস্থায় বিয়েতে এসেছিলেন বরের এক আত্মীয়। বরযাত্রীর সঙ্গেই ছিলেন তিনি। কিন্তু নেশার ঘোর থাকায় ওই দল থেকে আলাদা হয়ে যান। বরপক্ষের অন্য আত্মীয়রা বিয়ের আসরে পৌঁছলেও এই ব্যক্তি রাস্তা হারিয়ে ফেলেন। এতটাই নেশা করেছিলেন যে, কোনটা বিয়েবাড়ির পথ তা গুলিয়ে ফেলেন। বেশ কিছু ক্ষণ ধরে রাস্তায় ঘোরাঘুরির পর ওই এলাকারই একটি বাড়ির দরজায় কড়া নাড়া শুরু করেন। তখন রাত প্রায় ১২টা।
অত রাতে দরজায় কড়া নাড়ার আওয়াজে বেরিয়ে আসেন গৃহকর্তা। কিন্তু তাঁর সন্দেহ হয় ওই ব্যক্তি চোর। তার পরই ওই ব্যক্তিকে ধরে রেখে ‘চোর চোর’ বলে চিৎকার করতে শুরু করেন। চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে আসেন। সকলে মিলে ওই ব্যক্তিকে ধরে একটি বিদ্যুতের খুঁটিতে বাঁধেন। তার পর চলে গণধোলাই। ব্যক্তি বার বার বোঝানোর চেষ্টা করেন তিনি চোর নন। পথ হারিয়ে ফেলেছেন। এলাকারই একটি বিয়েবাড়িতে এসেছেন বরপক্ষের তরফে। কিন্তু তাঁর সেই দাবি চাপা পড়ে যায় গণরোষে।
স্থানীয়েরাই পুলিশের খবর দেন। পুলিশ এসে ওই ব্যক্তিকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। তাঁর চিকিৎসা করানো হয়। জেরায় পুলিশকে সমস্ত ঘটনা জানান ওই ব্যক্তি। খোঁজখবর নিয়ে পুলিশ জানতে পারে আটক ব্যক্তির দাবি সত্যি। তার পরই তাঁর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। পরিবারের লোকেরা এসে ওই ব্যক্তিকে থানা থেকে নিয়ে যান। ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের দেওরিয়া জেলার।
পুলিশ সূত্রে খবর, গোরক্ষপুর থেকে এক যুবক দেওরিয়াতে বিয়ে করতে এসেছিলেন। সেখানে তারকুলওয়া গ্রামে যুবকের বিয়ের অনুষ্ঠান ছিল। বরপক্ষ সেখানে পৌঁছে গেলেও তাঁদের মধ্যেই এক জন ছিটকে যান। ফলে পথ হারিয়ে ফেলেন। মত্ত অবস্থায় ছিলেন। ফলে পথ চিনতে সমস্যা হচ্ছিল তাঁর। পথভ্রষ্ট হয়ে অন্য বাড়ির দরজায় কড়া নাড়তেই চোর সন্দেহে তাঁকে ধরে মারধর করা হয়। প্রসঙ্গত, গত কয়েক দিন ধরেই তারকুলওয়া গ্রামে চুরি হচ্ছিল। আর সেই ঘটনার জেরে ওই ব্যক্তিকে চোর বলে সন্দেহ করেন স্থানীয়েরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy