তামিলনাড়ুর দেওয়ালে ‘মমতা আম্মা’
বঙ্গ রাজনীতির আঙিনা ছাড়িয়ে এ বার সুদূর তামিলনাড়ুতেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গুরুত্ব বাড়তে শুরু করেছে। দক্ষিণী রাজ্যের দেওয়ালে দেখা গেল বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর ছবি। পাশে লেখা ‘মমতা আম্মা’। ২১ জুলাইয়ের ডাক দেওয়া হয়েছে ওই দেওয়াল লিখনে। সেই ছবি প্রকাশ্যে আসতেই ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে নেটমাধ্যমে। জাতীয় রাজনীতিতেও তা নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছে গিয়েছে ইতিমধ্যে।
নীলবাড়ির লড়াইয়ে বিরাট জয়ের পর এ বছর ২১শে জুলাই তৃণমূলের শহিদ দিবসের অনুষ্ঠানকে জাতীয় স্তরে তুলে ধরার পরিকল্পনা রয়েছে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের। জোড়াফুল শিবিরের তরফে আগেই জানানো হয়েছে, ভার্চুয়ালি গোটা দেশের মানুষের কাছে তুলে ধরা হবে মমতার ভাষণ। এলইডি স্ক্রিন লাগিয়ে দিল্লিতে সম্প্রচার করা হবে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তৃতা। আর তার পরেই প্রকাশ্যে এল তামিলনাড়ুতে ২১শে জুলাইয়ের ডাক দিয়ে মমতার নামে দেওয়াল লিখনের ছবি। সেই সঙ্গে মমতাকে ‘আম্মা’ হিসেবে তুলে ধরার প্রয়াসে বিষয়টির রাজনৈতিক গুরুত্ব অনেকটাই বেড়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে।
তামিলনাড়ুর রাজনীতিতে ‘আম্মা’ শব্দটি বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। সে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতাকে সেখানকার মানুষ এই নামে সম্বোধন করতেন। গত ২০১৬ সালে তাঁর মৃত্যুর পর তামিলনাড়ুর রাজনীতিতে আমূল পরিবর্তন এসেছে। তাঁর দলও ক্ষমতাচ্যুত হয়েছে চলতি বছরের বিধানসভা নির্বাচনে। এখন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, ‘আম্মা-হারা’ তামিলেরা কি মমতার মধ্যেই জয়ললিতার ছায়া খুঁজতে শুরু করেছেন?
যদিও এই বিষয়টিতে বিশেষ গুরুত্ব দিতে নারাজ রাজনীতির কারবারিদের একাংশ। কারণ তামিলনাড়ুর বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিনের সঙ্গে মমতার সম্পর্ক আগাগোড়াই ভাল বলে জানে রাজনৈতিক মহল। বাংলায় ব্রিগেড সমাবেশে মমতার ডাকে বেশ কয়েকবার এসেছেন তিনি। করুণানিধির মৃত্যুবার্ষিকীর অনুষ্ঠানেও স্ট্যালিনের ডাকে তামিলনাড়ু গিয়েছিলেন মমতা। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের বক্তব্য, রাজ্যস্তরের নিরিখে বিষয়টির খুব বেশি গুরুত্ব না থাকলেও ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচনের আগে জাতীয় রাজনীতিতে মমতার সুকৌশলে পা ফেলার এই প্রচেষ্টা নজর কাড়ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy