বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খড়্গে। ছবি: পিটিআই।
লোকসভায় নরেন্দ্র মোদী ও শিল্পপতি গৌতম আদানির সম্পর্ক নিয়ে রাহুল গান্ধীর যাবতীয় প্রশ্ন ও অভিযোগ সংসদের রেকর্ড থেকে মুছে দেওয়া হয়েছিল। এ বার রাজ্যসভায় আদানির বিষয়ে কংগ্রেস সভাপতি তথা বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খড়্গেরও যাবতীয় মন্তব্য সংসদের রেকর্ড থেকে মুছে দেওয়া হল। এ নিয়ে রাজ্যসভায় চেয়ারম্যান তথা উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের সামনেই প্রতিবাদ জানান খড়্গে। তার পরে ধনখড়কে চিঠি দিয়েও প্রতিবাদ জানিয়ে খড়্গের যুক্তি, সরকারের সমালোচনা করলে তা সংসদের গরিমাকে খাটো করা হয় না। একই ভাবে লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরীও স্পিকার ওম বিড়লাকে চিঠি দিয়ে রাহুলের বক্তৃতার আদানি বিষয়ক অংশ মুছে দেওয়ার প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার খড়্গে ধনখড়কে বলেন, কিছু শব্দ নিয়ে সমস্যা থাকলে সেটা আলাদা ভাবে জিজ্ঞাসা করা যেত। কিন্তু তা না করে তাঁর বুধবারের বক্তৃতার ছ’টি জায়গা মুছে দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নীরবতার জন্য তাঁকে ‘মৌনীবাবা’ বলায় সেটাও মুছে দেওয়া হয়েছে। যে শব্দ মুছে দেওয়া হয়েছে, খড়্গে ফের তা বলায় ধনখড় আপত্তি তোলেন। খড়্গে বলেন, পি ভি নরসিংহ রাও প্রধানমন্ত্রী থাকার সময়ে অটলবিহারী বাজপেয়ী তাঁকে মৌনীবাবা বলেছিলেন।
রাষ্ট্রপতির বক্তৃতা নিয়ে আলোচনায় খড়্গে-সহ বিরোধী নেতারা যখনই মোদী সরকার সম্পর্কে অভিযোগ তুলেছেন, তখনই ধনখড় বলেছেন, অভিযোগের পক্ষে প্রমাণ দিতে হবে। খড়্গে ও অধীর, দু’জনেরই যুক্তি, সংবিধানের ১০৫তম অনুচ্ছেদে সাংসদদের বাক্স্বাধীনতার অধিকার দেওয়া হয়েছে। সাংসদেরা কিছু বললে তার পক্ষে প্রমাণ দেওয়ার কোনও প্রথা নেই। খড়্গের যুক্তি, সংসদীয় গণতন্ত্রে জনস্বার্থে সরকারের সমালোচনা করা হয়। স্পিকারের কাছে অধীরের দাবি, রাহুলের বক্তৃতার অংশ মুছে দেওয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা হোক।
গোটা বিষয়কে আজ কংগ্রেসের মুখপাত্র জয়রাম রমেশ ‘সেন্সরশিপ’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, রাজ্যসভার চেয়ারম্যান যে সব কথা বলেছেন, সেগুলোই সংসদের রেকর্ড থেকে মুছে দেওয়া উচিত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy