মণিপুর হিংসার একটি ছবি। —ফাইল চিত্র।
মণিপুরে দুই ছাত্রকে খুনের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্তকে মহারাষ্ট্রের পুণে থেকে গ্রেফতার করল সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটির তরফে জানানো হয়েছে, অভিযুক্ত যুবক ঘটনার পরেই মণিপুর থেকে পালিয়েছিলেন। গা ঢাকা দিয়েছিলেন পুণেতে। কিন্তু তাঁর গতিবিধির উপরে নজর রেখেছিলেন তদন্তকারীরা। তাতেই মিলল সাফল্য।
গত ১১ অক্টোবর অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে নিজেদের হেফাজতে নেয় সিবিআই। তার পর অভিযুক্তকে গুয়াহাটির একটি নিম্ন আদালতে পেশ করা হলে বিচারক ওই যুবককে ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
হিংসাদীর্ণ মণিপুরে গত ৬ জুলাই থেকে নিখোঁজ ছিলেন দুই পড়ুয়া। সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি ছবিতে দেখা যায়, দুই সশস্ত্র আততায়ীর সঙ্গে বসে রয়েছে দুই পড়ুয়া। অন্য একটি ছবিতে দেখা যায়, তাদের দেহ পড়ে রয়েছে। ছবি দু’টির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন। ওই দুই পড়ুয়াকে শেষ বার দেখা গিয়েছিল বিষ্ণুপুর জেলায়। অভিযোগ ওঠে, মেইতেই জনগোষ্ঠীর ওই দুই পড়ুয়াকে অপহরণ করে খুন করেছে কুকিরা।
মেইতেই জনগোষ্ঠীর দুই পড়ুয়ার খুনের ঘটনার জেরে সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে নতুন করে অশান্ত হয়ে ওঠে মণিপুর। অশান্তি রুখতে ঘোষণা করা হয়, কুকি অধ্যুষিত পাহাড়ি অঞ্চলে আগামী ছ’মাসের জন্য বলবৎ থাকবে ‘সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন’ (আর্মড ফোর্সেস স্পেশাল পাওয়ার অ্যাক্ট’ বা আফস্পা)। কিন্তু তাতেও ফল মেলেনি। ইম্ফল পূর্ব জেলার খুরাই সাজোর লেইকাই এলাকায় স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী এল সুসিন্দ্রোর বাসভবন তছনছ করে উত্তেজিত জনতা। দফায় দফায় পুলিশের সঙ্গে বিক্ষুদ্ধ জনতার সংঘর্ষ হয় ইম্ফলের বিভিন্ন এলাকায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy