Advertisement
২৭ নভেম্বর ২০২৪

হার দল ভাঙিয়েও, চিন্তায় বিজেপি

দুই রাজ্যের বিধানসভা ভোটের ফলাফল বলছে, কংগ্রেস বা এনসিপি ছেড়ে বিজেপিতে আসা সিংহভাগ প্রার্থীই গো-হারা হেরেছেন। বিভিন্ন রাজ্যের লোকসভা বা বিধানসভা উপ-নির্বাচনের ফলেও একই ছবি।

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি ও কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০১৯ ০৩:১৯
Share: Save:

মহারাষ্ট্র-হরিয়ানার ভোট কি মুকুল রায়-সব্যসাচী দত্তদের রক্তচাপ বাড়িয়ে দিল!

দুই রাজ্যের বিধানসভা ভোটের ফলাফল বলছে, কংগ্রেস বা এনসিপি ছেড়ে বিজেপিতে আসা সিংহভাগ প্রার্থীই গো-হারা হেরেছেন। বিভিন্ন রাজ্যের লোকসভা বা বিধানসভা উপ-নির্বাচনের ফলেও একই ছবি।

মহারাষ্ট্রে কংগ্রেস-এনসিপি ছেড়ে বিজেপি বা শিবসেনায় যোগ দিয়ে ভোটে নামা ৩৫ জনের মধ্যে অন্তত ১৯ জন হেরে গিয়েছেন। হরিয়ানাতে সব থেকে বেশি দল-বদল ঘটেছিল আইএনএলডি থেকে। এই দলের অধিকাংশ বিধায়ক বিজেপিতে যান। তাঁদের প্রার্থী করতে গিয়ে হরিয়ানার ১২ জন বিধায়ককে টিকিট দেয়নি বিজেপি। কিন্তু দল-বদলে আসা এই নেতাদের অধিকাংশই হেরেছেন। মহারাষ্ট্রে এনসিপি সাংসদ, শিবাজির বংশধর উদয়নরাজে ভোঁসলে পদত্যাগ করে নিজের সাতারা আসনেই বিজেপির টিকিটে লড়ে হেরে গিয়েছেন। গুজরাতে রাধনপুরে কংগ্রেসের বিধায়ক অল্পেশ ঠাকোর বিজেপিতে যোগ দিয়ে উপ-নির্বাচনে লড়েছিলেন। হেরেছেন তিনিও।

পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল ছেড়ে-আসা নেতাদের উপরে অনেকখানি ভরসা করেই রাজনৈতিক জমি দখলের চেষ্টা করছে বিজেপি। কেন্দ্রীয় নেতাদের ব্যাখ্যা, অন্য দল থেকে আসা নেতাদের জেতা-হারা সেই ব্যক্তি, তাঁর নিজস্ব সংগঠন ও দলীয় সংগঠনের উপরে নির্ভর করে। নিজের শক্তি না-থাকলেও তিনি নতুন দলের (বিজেপির) সংগঠনের জোরে জিতে যেতে পারেন। পশ্চিমবঙ্গে তাই সংগঠনের দিকেই বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ অবশ্য বলেই দিয়েছেন, ‘‘বাংলায় অন্য দল থেকে নেতাদের আমরা আগেও নিয়েছি, ভবিষ্যতেও নেব। অমিত শাহ আগেই সেই নির্দেশ দিয়েছেন।’’ বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের বক্তব্য, ‘‘অন্য রাজ্যের ফলাফল দেখে রাজ্য বিজেপির চিন্তিত হওয়ার কারণ নেই। পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতির সঙ্গে হরিয়ানা গুলিয়ে ফেললে হবে না। লোকসভা নির্বাচনে অন্য দল থেকে আসা অধিকাংশ প্রার্থী জিতেছিলেন। আগামী দিনেও জিতবেন।’’

বিজেপির আরও একটি সমস্যা রয়েছে। অন্য দল থেকে আসা নেতারা টিকিট পাওয়ায় অনেক বিজেপি নেতাই বিক্ষুব্ধ হয়ে নির্দল হিসেবে দাঁড়িয়ে পড়েছিলেন। তাঁদের জন্য বিজেপি প্রার্থীকে হারতে হয়েছে। যেমন, হরিয়ানার দাদরিতে ববিতা ফোগতকে টিকিট দেওয়ায় স্থানীয় বিজেপি নেতা সোমবীর সাঙ্গওয়ান নির্দল প্রার্থী হয়ে লড়েছিলেন। ববিতা হেরে যান। এ বার সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য সেই সোমবীরের উপরেই ভরসা করতে হচ্ছে বিজেপিকে।

অন্য বিষয়গুলি:

BJP Assembly Election 2019 Maharashtra Haryana
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy