উদ্ধব ঠাকরে এবং একনাথ শিন্ডে। ফাইল চিত্র।
তাঁদের অভিযোগের নিশানায় ছিলেন দলেরই প্রধান তথা মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। সরকারের পতন ঘটাতে বিজেপি নেতৃত্বের সহায়তায় প্রথমে গুজরাত এবং তার পর অসমের হোটেলে ডেরা বেঁধেছিলেন। কিন্তু বুধবার রাতে প্রয়াত বালাসাহেবের ছেলের ইস্তফার খবরে সেই বিদ্রোহী শিবসেনা বিধায়কদের অনেকেই দৃশ্যত দুঃখপ্রকাশ করেছেন। সেই তালিকায় রয়েছেন, বিদ্রোহী নেতা একনাথ শিন্ডের শিবিরের মুখপাত্র দীপক কেসরকরও।
বুধবার রাতে সুপ্রিম কোর্ট উদ্ধবের আবেদন খারিজ করে আস্থাভোটের নির্দেশ দেওয়ার পরেই বিজেপি শিবিরে শুরু হয়ে গিয়েছিল উৎসব। মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে উদ্ধবের ইস্তফা ঘোষণার পর মুম্বইয়ের একটি বিলাসবহুল হোটেলে জড়ো হওয়া বিজেপি নেতারা মিষ্টি বিলি, কেক কাটা শুরু করেছিলেন। কিন্তু গোয়ার হোটেলে হাজির বিদ্রোহী শিবসেনা বিধায়কের জমায়েতে উল্লাসের ছবি ধরা পড়েনি।
অসমের গুয়াহাটি থেকে বুধবার বিকেলে গোয়ায় পৌঁছন শিন্ডের অনুগামী বিধায়কেরা। রাতে শিন্ডে শিবিরের মুখপাত্র দীপক বলেন, ‘‘উদ্ধব ঠাকরের পদত্যাগ আমাদের কাছে আনন্দের বিষয় নয়।’’ তিনি জানান, বিদ্রোহীরা চেয়েছিলেন এনসিপি এবং কংগ্রেসের সঙ্গে সমঝোতা ভেঙে ফের বিজেপির সহযোগী হোক শিবসেনা। কারণ, এনসিপি বা কংগ্রেসের চেয়ে আদর্শগত দিক থেকে বিজেপির অনেক কাছাকাছি ছিলেন বালাসাহেব।
উদ্ধব কোনও অবস্থাতেই ‘মহাবিকাশ আঘাডী’ জোট ছাড়তে রাজি না হওয়ায় শিবসেনা প্রতিষ্ঠাতার হিন্দুত্ববাদী আদর্শকে অনুসরণ করে তাঁরা বিজেপির সঙ্গে হাত মেলাতে বাধ্য হয়েছেন বলে জানান দীপক। পাশাপাশি, সরকারের পতনের জন্য উদ্ধব অনুগামী শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউতকেও দায়ী করেন তিনি। দীপক বলেন, ‘‘প্রতি দিন নিয়ম করে নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিরুদ্ধে বিবৃতি দিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্ক বিষাক্ত করে তুলছিলেন সঞ্জয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy