মৌনী অমাবস্যায় প্রয়াগরাজের ত্রিবেণী সঙ্গমে শাহি স্নানের আগে পদপিষ্টের ঘটনা ঘটে। সরকারি হিসাবে, সেই দুর্ঘটনায় ৩০ জনের মৃত্যু হয়। তার পরেই মহাকুম্ভের ব্যবস্থাপনা নিয়ে যোগী আদিত্যনাথের প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল। শুধু পদপিষ্টের ঘটনা নয়, প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভ শুরু হওয়ার পর থেকে একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটে চলেছে। সেই আবহে বসন্ত পঞ্চমী উপলক্ষে শাহি স্নান নিয়ে সতর্ক ছিল যোগী প্রশাসন। সোমবার বিকেলের পর যোগী প্রশাসন জানাল, বসন্ত পঞ্চমীর শাহি স্নান নির্বিঘ্নেই শেষ হয়েছে।
উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন জানিয়েছে, সোমবার বিকেল ৪টে পর্যন্ত আনুমানিক দু’কোটি পুণ্যার্থী গঙ্গা, যমুনা এবং অন্তঃসলিলা সরস্বতী নদীর সঙ্গমে স্নান করেছেন। মৌনী অমাবস্যার দুর্ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে বসন্ত পঞ্চমী উপলক্ষে শাহি স্নান নিয়ে একাধিক সতর্কতা অবলম্বন করেছিল যোগী সরকার। উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী। মৌনী অমাবস্যার ‘ভুল’ যেন সোমবার না হয়, সে দিকে বাড়তি নজর রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। বিশেষ করে নিরাপত্তার বিষয়টির উপর আলোকপাত করা হয়। কী ভাবে, কোন পথে পুণ্যার্থী যাবেন, কোন পথ এড়িয়ে চলবেন— সব কিছুর নির্দেশিকা স্পষ্ট ভাবে দেওয়া হয়েছিল প্রশাসনের তরফে।
আরও পড়ুন:
সোমবার নিজের বাসভবন থেকে মহাকুম্ভের পরিস্থিতির উপর নজর রেখেছিলেন যোগী। মহাকুম্ভের ডিআইজি বৈভব কৃষ্ণ জানান, ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল। তাঁর কথায়, ‘‘সোমবার সব কিছুই সুষ্ঠু ভাবেই হয়েছে। কোথাও কোনও অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।’’