প্রতীকী ছবি।
আদালতে এক দলিত নির্যাতিতাকে পোশাক খুলে ফেলতে বললেন বিচারক। আর এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ওই বিচারকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনাটি রাজস্থানের কারাউলি জেলার।
ধর্ষণের শিকার হয়েছিল এক দলিত কিশোরী। সেই মামলায় ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে তার গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয়। অভিযোগ, গোপন জবানবন্দি নেওয়ার পর নির্যাতিতার শরীরে আঘাতের চিহ্ন পরীক্ষা করতে তাকে পোশাক খুলতে বলেন বিচারক। কারাউলির ডেপুটি পুলিশ সুপার (জনজাতি সেল) মিনা মীনা জানিয়েছেন, বিচারকের বিরুদ্ধে কোতওয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে কিশোরী।
বিচারকের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৪৫ ধারা এবং জনজাতি আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, গত ১৯ মার্চ কিশোরীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ২৭ মার্চ হিন্দাউন সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে কিশোরীর পরিবার। টাইমস অফ ইন্ডিয়া-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর পুলিশ নির্যাতিতার মেডিক্যাল পরীক্ষা করায়। গত ৩০ মার্চ তাকে আদালতে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে নিয়ে আসা হয়েছিল গোপন জবানবন্দির জন্য।
কিশোরীর অভিযোগ, গোপন জবানবন্দি নেওয়ার পর বিচারক তাকে পোশাক খুলতে বলেন। তার কথায়, “বিচারক বলেন, আমার শরীরে কোথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে তা পরীক্ষা করে দেখতে চাই। তখন বলেছিলাম, আপনি পুরুষ, কোনও মহিলা বিচারককে ডাকুন।” কিশোরীর অভিযোগ, আপত্তি জানানোর পরেও বিচারক তাকে আবার একই নির্দেশ দেন। বিচারকের এই আচরণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে এর পরই থানায় অভিযোগ দায়ের করে কিশোরী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy