Advertisement
২২ ডিসেম্বর ২০২৪
Madhya Pradesh

স্ত্রীর সঙ্গে বাবা-মাকেও ক্ষতিপূরণ! ক্যাপ্টেন অংশুমান বিতর্কের মাঝে ঘোষণা মধ্যপ্রদেশে

কর্তব্যরত অবস্থায় কোনও পুলিশকর্মীর মৃত্যু হলে ক্ষতিপূরণের অর্থ তাঁর স্ত্রীর পাশাপাশি বাবা-মাও পাবেন। সমান ভাগে ভাগ করা হবে ক্ষতিপূরণের অর্থ, সিদ্ধান্ত নিয়েছে মধ্যপ্রদেশ সরকার।

‘কীর্তি চক্র’ সম্মান তুলে দেওয়া হচ্ছে প্রয়াত ক্যাপ্টেন অংশুমান সিংহের পরিবারের হাতে।

‘কীর্তি চক্র’ সম্মান তুলে দেওয়া হচ্ছে প্রয়াত ক্যাপ্টেন অংশুমান সিংহের পরিবারের হাতে। ছবি: এক্স।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ জুলাই ২০২৪ ১২:১৬
Share: Save:

কর্তব্যরত অবস্থায় কোনও পুলিশকর্মীর মৃত্যু হলে ক্ষতিপূরণের অর্থ তাঁর স্ত্রীর পাশাপাশি বাবা-মাও পাবেন। সম্প্রতি এমনটাই ঘোষণা করলেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব। তাঁর সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই নিয়ম শুধু মধ্যপ্রদেশের পুলিশ বিভাগের জন্যই প্রযোজ্য হবে। কিছু দিন আগে ভারতীয় সেনায় কর্মরত ক্যাপ্টেন অংশুমান সিংহের মরণোত্তর সম্মান ‘কীর্তি চক্র’ নিয়ে বিতর্ক হয়েছিল। ক্যাপ্টেনের বাবা-মা দাবি করেছিলেন, ‘কীর্তি চক্র’ নিয়ে বাড়ি থেকে চলে গিয়েছেন তাঁদের পুত্রবধূ। সেনার ‘নেক্সট অফ কিন’ নীতি বদলের দাবিও জানিয়েছিলেন তাঁরা। এর মাঝে মধ্যপ্রদেশ সরকারের এই সিদ্ধান্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

মধ্যপ্রদেশে কর্তব্যরত অবস্থায় কোনও পুলিশকর্মীর মৃত্যু হলে সরকারের তরফে এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ পেয়ে থাকে তাঁর পরিবার। এত দিন পুলিশকর্মী বিবাহিত হলে সেই অর্থ পেতেন তাঁর স্ত্রী। নতুন ঘোষণা অনুযায়ী, মৃত্যুর পরের ক্ষতিপূরণের অর্থ স্ত্রী এবং ওই পুলিশকর্মীর বাবা-মায়ের মধ্যে সমান ভাগে ভাগ হবে। অর্থাৎ, স্ত্রী পাবেন ৫০ লক্ষ টাকা এবং বাবা-মা পাবেন ৫০ লক্ষ টাকা।

প্রসঙ্গত, সেনার মেডিক্যাল সার্ভিসের অফিসার ছিলেন ক্যাপ্টেন অংশুমান। ২০২৩ সালের ১৯ জুলাই সিয়াচেনে সেনাশিবিরের গোলাবারুদ রাখার ঘরে আগুন ধরে গিয়েছিল। সেই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল অংশুমানের। মৃত্যুর আগে চার থেকে পাঁচ জনের প্রাণ বাঁচিয়েছিলেন তিনি। গত ৫ জুলাই তাঁর মরণোত্তর সম্মান ‘কীর্তি চক্র’ তুলে দেওয়া হয়েছিল অংশুমানের মা এবং স্ত্রীর হাতে। মাত্র পাঁচ মাস আগে তাঁর বিয়ে হয়েছিল। তার পরেই বদলি হয় সিয়াচেনে।

ক্যাপ্টেনের স্ত্রী এবং মায়ের হাতে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু সম্মান তুলে দিয়েছিলেন। সেই অনুষ্ঠানের কয়েক দিন পরেই ক্যাপ্টেনের বাবা এবং মা দাবি করেন, তাঁদের পুত্রবধূ ‘কীর্তি চক্র’ নিজের সঙ্গে নিয়ে বাপের বাড়িতে চলে গিয়েছেন। সরকারি খতিয়ানে পাল্টে নিয়েছেন নিজের ঠিকানাও। পুত্রের পোশাক, যাবতীয় নথিও সঙ্গে নিয়ে গিয়েছেন বলে অভিযোগ। পুত্রের ছবি ছাড়া কিছুই তাঁদের কাছে নেই বলে জানান সন্তানহারা দম্পতি। ক্যাপ্টেনের বাবা রবিপ্রতাপ সিংহ বলেন, ‘‘ভারতীয় সেনায় ‘নেক্সট অফ কিন’-এর যে মানদণ্ড নির্ধারণ করা হয়েছে, তাতে বদল আনা উচিত। এর সংজ্ঞা পুনর্বিবেচনা করা উচিত। আমি প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহের সঙ্গে কথা বলেছি। অংশুমানের স্ত্রী এখন আর আমাদের সঙ্গে থাকেন না। ওদের বিয়ে হয়েছিল মাত্র পাঁচ মাস। কোনও সন্তানও নেই ওদের। আমাদের কাছে ছেলের ছবি ছাড়া আর কিছু নেই। আমরা চাই ‘নেক্সট অফ কিন’-এর সংজ্ঞা বদলানো হোক।” প্রয়াত ক্যাপ্টেনের বাবার অভিযোগ নিয়ে সমাজমাধ্যমে বিস্তর চর্চা হয়েছিল। এই পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রদেশ সরকারের ঘোষণা আলাদা তাৎপর্য বহন করছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের একাংশের।

অন্য বিষয়গুলি:

Madhya Pradesh Captain Angshuman Singh Indian Army Madhya Pradesh Chief Minister Mohan Yadav
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy