তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে ধরে নেওয়া হয়েছিল। ‘শেষকৃত্য’ সম্পন্ন হয়ে গিয়েছিল। খুনের মামলায় চার অভিযুক্তের জেলও হয়। ঘটনার দেড় বছর পরে বাড়ি ফিরে এলেন মধ্যপ্রদেশের ‘মৃত’ তরুণী। তাঁর পরিচয় যাচাই করতে ডিএনএ পরীক্ষা করানোর কথা ভাবছে পুলিশ।
ঘটনার সূত্রপাত ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে। মধ্যপ্রদেশের মান্দসৌর জেলার গান্ধীসাগর এলাকা থেকে নিখোঁজ হয়ে যান ললিতা বাই নামে ৩৫ বছর বয়সি এক তরুণী। ঘটনার কয়েক দিন পরেই একটি ট্রাক দুর্ঘটনার খবর প্রকাশ্যে আসে। দুর্ঘটনাস্থল থেকে এক তরুণীর দেহ উদ্ধার হয়। দেহটির মাথা থেঁতলানো ছিল। দেহটি কার, তা মুখ দেখে শণাক্তকরণের উপায় ছিল না। শরীরে আঁকা উল্কি এবং পায়ে একটি কালো সুতো বাঁধা দেখে ললিতার বাবা ধরে নেন, দেহটি তাঁরই মেয়ের। সেই মতো ওই দেহটির সৎকারও করেন তিনি।
ওই ঘটনায় একটি খুনের মামলাও রুজু হয়। পুলিশি তদন্তে চার জনকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁরা বর্তমানে জেলবন্দি। এরই মধ্যে পরিবারের সবাইকে চমকে দিয়ে মধ্যপ্রদেশের বাড়িতে ফিরে আসেন ললিতা। পরিবারের কাছে ললিতা জানান, তাঁকে খুন করা হয়নি। পাঁচ লক্ষ টাকার বিনিয়মে তাঁকে রাজস্থানের কোটায় বিক্রি করে দেওয়া হয়েছিল। গত ১৮ মাস ধরে কোটা শহরেই ছিলেন তিনি। দেড় বছর পরে কোনওরকমে সেখান থেকে পালানোর সুযোগ পান ললিতা এবং চলে আসেন মধ্যপ্রদেশে নিজের গ্রামে। এ কথা জানার পরে ললিতার বাবা তাঁকে থানায় নিয়ে যান। মেয়ের ফিরে আসা এবং গত দেড় বছরের গোটা ঘটনার কথা পুলিশকে জানান তিনি।
আরও পড়ুন:
মধ্যপ্রদেশের গান্ধীনগর থানার ওসি তরুণ ভরদ্বাজ জানান, ললিতা নামে এক তরুণী কয়েক দিন আগে থানায় এসে জানিয়েছেন তিনি বেঁচে রয়েছেন। পুলিশ তাঁর পরিচয় যাচাই করার জন্য প্রতিবেশী এবং পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা জানিয়েছেন, এই তরুণীই দেড় বছর আগে ‘মৃত’ ললিতা। তবে তাঁর পরিচয় যাচাই করার জন্য আরও বিস্তারিত অনুসন্ধানের পরিকল্পনা রয়েছে পুলিশের। সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, ওই তরুণীর শারীরিক পরীক্ষা এবং ডিএনএ পরীক্ষাও করার চিন্তাভাবনা করছে পুলিশ। সাক্ষীদের নতুন করে বয়ান সংগ্রহ করা হবে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।