স্ত্রীকে খুনের পর আত্মহত্যা করেছিলেন এক যুবক। একসঙ্গেই শেষকৃত্য চলছিল দু’জনের। সেই শোক সহ্য করতে পারলেন না তাঁরই বৃদ্ধ দাদু। শেষকৃত্য চলাকালীনই পৌত্রের জ্বলন্ত চিতায় ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করলেন তিনিও। শনিবার মধ্যপ্রদেশের সিধি জেলায় ঘটনাটি ঘটেছে। একই পরিবারের তিন সদস্যের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে গ্রামে।
আরও পড়ুন:
শনিবার পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সিধি জেলার বাহরি থানার অন্তর্গত সিহোলিয়া গ্রামের বাসিন্দা অভয়রাজ যাদব (৩৪) শুক্রবার নিজের স্ত্রী সবিতা যাদব (৩০)-কে শ্বাসরোধ করে খুন করেছিলেন। তার পর নিজেও গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন অভয়রাজ। সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, অভয়দের সঙ্গেই থাকতেন তাঁর দাদু রামাবতার যাদব। তিন জনকে নিয়েই ছিল সংসার। একমাত্র পৌত্রের মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছিলেন বৃদ্ধ। সন্ধ্যায় যখন একই সঙ্গে মৃত স্বামী-স্ত্রীর শেষকৃত্য চলছিল, সেই সময়েই নাতির চিতায় ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন রামাবতারও।
আরও পড়ুন:
সিধির ডিএসপি গায়ত্রী তিওয়ারি জানিয়েছেন, শনিবার সকালে রামাবতারের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। অভয়ের চিতার উপরেই তাঁর দগ্ধ দেহ পাওয়া গিয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে মনে করা হচ্ছে, শোকে নাতির জ্বলন্ত চিতায় ঝাঁপিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেছেন রামাবতার। একই পরিবারের তিন সদস্যের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। সবিতাকে কেন খুন করা হয়েছিল, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।