ফাইল চিত্র।
ত্রিপুরায় সাংগঠনিক কাজে গতি আনতে সুস্মিতা দেবকে রাজ্যসভায় পাঠিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। সেই পথেই এ বার গোয়ার নির্বাচনে দলের কাজে গতি আনতে সেখানকার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজ়িনহো ফেলেরোকে রাজ্যসভায় পাঠাতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সব কিছু ঠিক থাকলে এ রাজ্যের শূন্য আসনে তৃণমূলের প্রার্থী হিসেবে আগামী মঙ্গলবার মনোনয়ন জমা দেবেন তিনি।
আগামী বছরের গোড়ায় গোয়া বিধানসভার ভোট। তাতে পুরোদস্তুর লড়াই করতে চাইছে তৃণমূল। সেই লক্ষ্যে যে সাংগঠনিক তৎপরতা শুরু হয়েছে তা বাড়াতে সাত বারের বিধায়ক ফেলেরোকে রাজ্যসভার সাংসদ করতে চলেছেন দলীয় নেতৃত্ব। দলীয় সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই দলের এই সিদ্ধান্তে সিলমোহর দিয়েছেন মমতা। পুজোর পরে গোয়া সফরে গিয়ে ফেলেরো-সহ গোয়ায় তৃণমূলের নেতাদের সঙ্গে সাংগঠনিক বিষয়ে বিশদ আলোচনা করেছেন মমতা। ওই সময় ফেলেরোকে তৃণমূলের সহ-সভাপতিও করা হয়। গত সেপ্টেম্বর মাসেই কলকাতায় দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত থেকে পতাকা নিয়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন ফেলেরো। তাঁর সঙ্গে গোয়া কংগ্রেসের আরও একাধিক জনপ্রতিনিধিও তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। গোয়ায় মমতার উপস্থিতিতে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন বিশিষ্ট টেনিস তারকা লিয়েন্ডার পেস এবং নাফিসা আলি।
গোয়ার পরিষদীয় রাজনীতিতে দীর্ঘদিনের গুরুত্বপূর্ণ মুখ ফেলেরোকে সেখানকার বিধানসভা ভোটের আগে দলের প্রসারে বিশেষ ভাবে কাজে লাগাতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গোয়ার পূবর্ববর্তী কংগ্রেস সরকারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ফেলেরোর রাজনৈতিক প্রভাব রয়েছে বলে মনে করছেন তারা। ফেলেরো তৃণমূলে যোগ দেওয়ার সময় থেকেই এই পরিকল্পনা শুরু করেছে তৃণমূল।
সেই সময় দলের নির্দেশে রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে সংগঠনের কাজ করছেন অর্পিতা ঘোষ। তার শূন্য আসনেই নির্বাচন হবে আগামী ২৯ নভেম্বর। রাজ্য বিধানসভার বিধায়ক সংখ্যার বিচারে এই আসনেও তৃণমূলের জয় কার্যত নিশ্চিত। ফলে সুস্মিতার নির্বাচনের মতো এক্ষেত্রেও বিরোধী বিজেপির প্রতিদ্বন্দ্বিতার সম্ভাবনা কম।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy