সংসদ চত্বরে গান্ধীমূর্তির তলায় বিরোধীদের বিক্ষোভ। ছবি: পিটিআই।
দুই-তৃতীয়াংশ বিরোধী সাংসদকে সাসপেন্ড করেও শীতকালীন অধিবেশন ‘নিয়ন্ত্রণে’ আনা যাচ্ছে না সংসদে। বুধবার ‘অসংসদীয় আচরণের’ অভিযোগে লোকসভার আরও দুই বিরোধী সাংসদকে শীতকালীন অধিবেশনের বাকি দিনগুলির জন্য সাসপেন্ড করা হল।
বুধবার সাসপেন্ড হওয়া দুই সাংসদই কেরলের। প্রথম জন, আলাপুঝার সিপিএম সাংসদ এএম আরিফ। দ্বিতীয় জন, আঞ্চলিক দল কেরল কংগ্রেস (মণি)-র নেতা তথা কোট্টয়মের সাংসদ টমাস চাজ়িকাদন। এই নিয়ে গত এক সপ্তাহে লোকসভা এবং রাজ্যসভা থেকে মোট ১৪৩ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করা হল। এর মধ্যে লোকসভার সাংসদ ৯৭ জন।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার লোকসভায় রংবোমা হানার ঘটনার পর থেকেই সংসদ ভবনের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে অধিবেশনে সরব হয়েছেন বিরোধীরা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিবৃতির দাবিতে ওয়েলে নেমে স্লোগান তুলছেন তাঁরা। আর তার পর থেকে চলছে ধারাবাহিক সাসপেনশনের পালা। গত বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ সামাল দিতে না-পেরে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড় শীতকালীন অধিবেশনের বাকি দিনগুলির জন্য সাসপেন্ড করেন তৃণমূলের সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েনকে। লোকসভায় সাসপেন্ড করা হয় ১৪ বিরোধী সাংসদকে।
পরে দেখা যায় তাঁদের মধ্যে এক জন সভাতে হাজির না থাকা সত্ত্বেও শাস্তির কবলে পড়েছেন! এর পর শুক্রবারও বিরোধীদের প্রবল প্রতিবাদের জেরে সোমবার পর্যন্ত মুলতুবি হয়ে গিয়েছিল দুই কক্ষের অধিবেশন। সোমবার দুই কক্ষ মিলিয়ে মোট ৭৮ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়। মঙ্গলবার আবার প্রায় ৫০ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। প্রত্যেকেই বিরোধী শিবিরের সাংসদ। এই ঘটনাকে বিরোধী নেতৃত্ব বলেছেন ‘গণতন্ত্রের সাসপেনশন’।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy