Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Insurance Regulatory and Development Authority

বিমায় প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের সীমা বেড়ে ৭৪ শতাংশ, লোকসভায় পাশ সংশোধনী বিল

এই বিলের বিরোধিতা করতে দেখা যায় বিরোধীদের। তাদের অভিযোগ, সমস্ত সরকারি ক্ষেত্রের বেসরকারিকরণ করে দেশের অর্থনীতিকে ডুবিয়ে দিচ্ছে মোদী সরকার।

লোকসভায় বিমা সংশোধনী বিল নিয়ে বিতর্কে নির্মলা সীতারামন।

লোকসভায় বিমা সংশোধনী বিল নিয়ে বিতর্কে নির্মলা সীতারামন। ফাইল চিত্র।

সংবাদসংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২২ মার্চ ২০২১ ২১:১২
Share: Save:

রাজ্যসভায় আগেই পাশ হয়েছিল। এ বার লোকসভায় পাশ হল বিমা সংশোধনী বিল, ২০২১। এই বিল আইনে পরিণত হওয়ার জন্য এ বার রাষ্ট্রপতির অনুমোদন দরকার। তাহলেই প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই)-এর সর্বোচ্চ সীমা বেড়ে ৭৪ শতাংশ হয়ে যাবে।

এর আগে বিমা সংশোধনী বিলে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ ছিল ৪৯ শতাংশ। সেটাকেই বাড়িয়ে ৭৪ শতাংশ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় বাজেট এই বিলের প্রস্তাব আনেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। সেই সময়ে তিনি বলেছিলেন, ‘‘বিমা সংস্থাগুলির ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের সীমা ৪৯ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭৪ শতাংশ করার প্রস্তাব দিচ্ছি আমি। সেইসঙ্গে বিদেশি মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণের অনুমতি দেওয়ার জন্য বিমা আইন ১৯৩৮ সংশোধন করার প্রস্তাবও দিচ্ছি।’’

সোমবার লোকসভায় এই বিল নিয়ে বিতর্কে নির্মলা বলেন, ‘‘বেসরকারি ক্ষেত্রে বিনিয়োগ নিয়ে সমস্যা রয়েছে। সরকারি ক্ষেত্রগুলিতে সরকার সাহায্য করে। কিন্তু বেসরকারি ক্ষেত্রগুলিকে নিজেদের বিনিয়োগ ঠিক রাখতে হবে। এই আইন সেই কাজই করবে। বেসরকারি ক্ষেত্রের বিনিয়োগের সমস্যা অনেকটাই কমবে।’’

নির্মলা আরও বলেন, ‘‘২০১৫ সালে বিমা ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের সর্বোচ্চ সীমা ২৬ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৪৯ শতাংশ করা হয়। তাতে বিমা সংস্থার সুবিধা হয়েছিল। সেই সুবিধা বাড়ানোর জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের ঊর্ধ্বসীমা বাড়ালে বিমা সংস্থার সুরক্ষার ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হবে কি না সে বিষয়ে বিভিন্ন বিনিয়োগকারী ও ইনস্যুরেন্স রেগুলেটরি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (আইআরডিএআই)- এর সঙ্গে কথা বলার পরেই কোনও রকমের পদক্ষেপ করা হয়েছে।

কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, যাঁরা বিনিয়োগ করতে চাইবেন তাঁদের বেশির ভাগ প্রধানকে ভারতীয় ও স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত হতে হবে। এর মাধ্যমে ভারতীয় আইনের আওতায় তাঁরা আসবেন। অর্থাৎ বিদেশি বিনিয়োগ হলেও টাকা ভারতেই থাকবে।

অবশ্য রাজ্যসভার মতো লোকসভাতেও এই বিলের বিরোধিতা করতে দেখা যায় বিরোধীদের। তাদের অভিযোগ, সমস্ত সরকারি ক্ষেত্রের বেসরকারিকরণ করে আখেরে দেশের অর্থনীতিকে ডুবিয়ে দিচ্ছে মোদী সরকার।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy