বিজ্ঞাপনে মুখ দেখানোর পরে পণ্য ও পরিষেবা নিয়ে অভিযোগ উঠলে এ বার শাস্তি হবে সেলিব্রিটিদেরও। কড়া শাস্তি ও জরিমানার ব্যবস্থা রেখে লোকসভা আজ যে ‘ক্রেতা সুরক্ষা বিল, ২০১৯’ পাশ করেছে, তাতে ভুয়ো ও বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপনের জন্য সেলিব্রিটিদের জরিমানা হতে পারে ১০ লক্ষ টাকা। ক্রেতা সুরক্ষার এই বিল আইনে পরিণত হলে ১৯৮৬ সালের এই সংক্রান্ত আইনের জায়গায় কার্যকর হবে। ক্রেতাসুরক্ষার প্রশ্নে আসবে ব্যাপক পরিবর্তন।
লোকসভা আজ যে বিল পাশ করেছে, তাতে বলা হয়েছে, ক্রেতাদের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে জাতীয় স্তরে ‘ক্রেতা সুরক্ষা কর্তৃপক্ষ’ গড়ে তোলা হবে।
ক্রেতা সুরক্ষায় এখন জাতীয় স্তরে কোনও নিয়ন্ত্রক নেই। তবে এই কর্তৃপক্ষ নিয়ন্ত্রকের ভূমিকা পালন করবে। তদন্ত করে পণ্য বাজেয়াপ্ত করতে পারবে তারা। মানুষের জন্য
ক্ষতিকর পণ্য বাজার থেকে তুলে নেওয়ার ক্ষমতা থাকবে এই কর্তৃপক্ষের। ক্রেতার অধিকার ক্ষুণ্ণ হলে উৎপাদক ও সেলিব্রিটির উপর জরিমানা করার অধিকারও থাকবে।
ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রী রামবিলাস পাসোয়ান দাবি করেছেন, আজকের দুনিয়ায় ক্রেতার অধিকার ও তাঁর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই এই নতুন আইন চাইছে কেন্দ্র। এ জন্যই ই-কমার্স, টেলি মার্কেটিং-এর মতো বিষয়গুলিও বিলে জায়গা পেয়েছে।
বিলে বলা হয়েছে, পণ্য কিংবা পরিষেবা নিয়ে মিথ্যে বা বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন দেওয়া হলে উৎপাদক সংস্থা ও সংশ্লিষ্ট পণ্যের সঙ্গে জুড়ে থাকা সেলিব্রিটির
শাস্তির ব্যবস্থা করতে পারবে কর্তৃপক্ষ। এই ধরনের বিজ্ঞাপনের জন্য সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের জেল ও পঞ্চাশ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করার প্রস্তাব রয়েছে।
কোনও পণ্য সম্পর্কে অভিযোগ উঠলে যদি দেখা যায়, তার জন্য কেউ মৌখিক ভাবে, বার্তা দিয়ে, প্রদর্শনের মাধ্যমে, নাম-সই ব্যবহার করে কিংবা পছন্দের কথা জানিয়ে বিভ্রান্তিকর প্রচার করেছেন, সে ক্ষেত্রে শাস্তির প্রসঙ্গ আসবে। তবে ওই ব্যক্তি যদি দেখাতে পারেন, যথেষ্ট খোঁজখবর নেওয়ার পরেই তিনি বিজ্ঞাপন করেছেন, সে ক্ষেত্রে ছাড় পেতে পারেন তিনি। পণ্য নিয়ে অভিযোগে উৎপাদক ও বিক্রেতার দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করা হয়েছে বিলে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy