—ফাইল চিত্র।
যাঁদের নাম অসমের নাগরিকপঞ্জিতে থাকবে না, কিন্তু ভোটার তালিকায় থাকবে, তাঁদের ক্ষেত্রে কী করা হবে, তা নির্বাচন কমিশনের কাছে জানতে চাইল সুপ্রিম কোর্ট। জানুয়ারি মাসে ভোটার তালিকা সংশোধনের সময়ে কত জনের নাম বাদ পড়েছে প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈর বেঞ্চ আজ তারও জবাব চেয়েছে কমিশনের কাছে।
নাগরিকপঞ্জির চূড়ান্ত খসড়া থেকে বাদ পড়া ব্যক্তিদের নাম ভোটার তালিকা সংশোধনের সময় বাদ দেওয়া হচ্ছে বলে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছিলেন গোপাল শেঠ এবং সুশান্ত সেন। আজ নির্বাচন কমিশনের সচিবকে সশরীরে তলব করেছিলেন প্রধান বিচারপতি।
মামলাকারীদের আইনজীবী পীযূষ রায়ের অভিযোগ ছিল, খসড়াছুটদের অনেকেরই নাম জুলাই মাসে চূড়ান্ত নাগরিকপঞ্জিতে থাকবে। কিন্তু ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়ায় এবার ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হবেন তাঁরা। যদিও গত লোকসভা নির্বাচনে তাঁরা ভোট দিয়েছিলেন। কমিশনের সচিব মলয় মল্লিককে প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন করেন, কোন আইন মেনে প্রতি বছর ভোটার তালিকা সংশোধন হচ্ছে?
সচিব উত্তর দিতে গিয়ে আমতা আমতা করায়, কমিশনের আইনজীবী বিকাশ সিংহ কানে কানে কিছু বলে দিতে যান। তাতে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘আমরা বিস্মিত যে সচিব উত্তর জানেন না। তাঁকে পিছন থেকে বলে দিতে হচ্ছে।’’ কমিশন জানায়, এনআরসি বা নাগরিকপঞ্জির ভিত্তিতে কোনও ভোটারের নাম বাদ যায়নি। কিন্তু প্রধান বিচারপতি বলেন, একটা প্রশ্ন থেকেই যায়। তা হল ৩১ জুলাই চূড়ান্ত এনআরসি তৈরি হলে, যাঁদের নাম থাকবে না কিন্তু ভোটার তালিকায় থাকবে, তাঁদের কী হবে! আইনজীবী পীযূষ বলেন, ২৭ মার্চের মধ্যে কমিশনকে হলফনামা জমা দিতে বলেছে সুপ্রিম কোর্ট। প্রতিটি লোকসভা কেন্দ্র ধরে ধরে জানুয়ারিতে কতজন ভোটারের নাম বাদ গিয়েছে বা যোগ হয়েছে, তা-ও জানাতে হবে। ২৮ মার্চ পরবর্তী শুনানি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy