প্রতীকী ছবি।
বিহারে আগামী অক্টোবর-নভেম্বরে বিধানসভা নির্বাচন হওয়া কথা। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির জন্য ভোট পিছিয়ে দেওয়ার সওয়াল করেছে এনডিএ শরিক লোক জনশক্তি পার্টি (এলজেপি)।
বিধানসভা নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার জন্য এলজেপি চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশনকে। তাদের যুক্তি, অক্টোবর-নভেম্বরে দেশে করোনা সংক্রমণ শীর্ষে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাই ওই সময়ে ভোট হলে মানুষকে কার্যত মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হবে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামবিলাস পাসোয়ানের এলজেপি যখন ভোট পিছোনোর পক্ষে, তখন এনডিএ-র আর এক শরিক জেডি(ইউ)-র প্রধান তথা বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার কিন্তু নির্ধারিত সময়ে ভোট করার জন্য প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন। বিজেপি কিছু বলেনি। আগামী বছর পশ্চিমবঙ্গ-সহ পাঁচটি রাজ্যে বিধানসভার ভোট হওয়ার কথা। বিহারের নির্বাচন পিছিয়ে গেলে ওই পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটে তার প্রভাব পড়বে কিনা, সে প্রশ্নও তুলছেন অনেকে। ।
নির্ধারিত সময়েই বিহারে বিধানসভা ভোট করাতে চায় কমিশন। কিন্তু করোনা সংক্রমণ এবং বিহারে হওয়া বন্যার কারণে পরিস্থিতি ভোটের অনুকূল নয় বলেই মনে করছে রামবিলাসের দল। সম্প্রতি বিহারের বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে সে রাজ্যের রাজনৈতিক দলগুলির মতামত জানতে চেয়েছিল কমিশন। সেখানে রামবিলাসের ছেলে তথা এলজেপি সভাপতি চিরাগ পাসোয়ান জানান, যে সময়ে ভোটের কথা বলা হচ্ছে, সে সময়ে দেশে করোনা সংক্রমণ শীর্ষ থাকবে। তখন মানুষকে ভোট দেওয়ার জন্য বাড়ির বাইরে বার হতে বলা মানে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া। প্রশ্ন উঠেছে কেন আগ বাড়িয়ে এ কথা বললেন চিরাগ। অনেকেই মনে করছেন, নীতীশকে চাপে রাখতে বিজেপির নির্দেশে ওই কাজ করেছেন তিনি। বিজেপির একটি অংশের মতে, করোনা ও বন্যার কারণে শাসক শিবিরের প্রতি মানুষের ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। ফল এনডিএ-র বিপক্ষে যেতে পারে। তাই ভোট পিছোতে এলজেপি-কে ময়দানে নামিয়েছে বিজেপি।
অনেকে মনে করছেন, বিহারের ভোট পিছোলেও তার প্রভাব পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে পড়বে না। বরং আগামী এপ্রিল-মে মাসে পশ্চিমবঙ্গ, অসম, কেরল, তামিলনাড়ু, পুদুচেরির সঙ্গে বিহারের বিধানসভা ভোট করিয়ে নেওয়ার সুযোগ রয়েছে কমিশনের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy