লিভ-ইন সম্পর্ক কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে নথিভুক্ত করতে হবে, সুপ্রিম কোর্টকে এমন নির্দেশ দেওয়ার জন্য আবেদন করা হয়েছিল। ফাইল চিত্র ।
সরকারের কাছে লিভ-ইন সম্পর্কের নথিভুক্তিকরণ করা ‘খরগোশের ভাবনা’। নথিভুক্তিকরণ করার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারই বা কী করবে! বিরক্ত প্রকাশ করে একত্রবাস নথিভুক্তিকরণের জন্য করা আবেদন খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট।
লিভ-ইন সম্পর্ক কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে নথিভুক্ত করতে হবে, সুপ্রিম কোর্টকে এমন নির্দেশ দেওয়ার জন্য আবেদন করা হয়েছিল। একত্রবাসে অপরাধের ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে বলেও আবেদনপত্রে উল্লেখ করা হয়েছিল। আবেদনপত্রে উল্লেখ ছিল শ্রদ্ধা ওয়ালকর হত্যা প্রসঙ্গও। আবেদনে লিভ-ইন সম্পর্ক নথিভুক্তিকরণ জন্য নিয়ম এবং নির্দেশিকা প্রণয়নেরও দাবি করা হয়েছিল। যুক্তি দেওয়া হয়েছিল, নথিভুক্তিকরণের ফলে লিভ-ইন সম্পর্কে থাকা দুই ব্যক্তির কাছেই একে অপরকে নিয়ে সম্যক ধারণা থাকার পাশাপাশি সরকারের কাছেও তাঁদের সম্পর্কে নথি থাকবে। সেই আবেদনই খারিজ করল শীর্ষ আদালত।
মামলার শুনানির সময় দেশের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন একটি বেঞ্চ মামলাকারীর আইনজীবী মমতা রানিকে জিজ্ঞাসা করেন, তিনি একত্রবাসে থাকা যুগলদের সুরক্ষা বাড়াতে চান, না তাঁদের একত্রবাসে ইতি টানতে চান। এই মামলা নিয়ে বিরক্তিও প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি।
বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, ‘‘এ কী? এখানে মানুষ যা খুশি দাবি নিয়ে আসে! আমরা এই ধরনের মামলা করার ক্ষেত্রে খরচ চাপাতে শুরু করব। কিসের নথিভুক্তিকরণ? কেন্দ্রীয় সরকার এই বিষয়ে কী করবে? একত্রবাসে থাকা যুগলদের সঙ্গে সরকারের কী লেনাদেনা? এগুলো সব ‘খরগোশের ভাবনা’ যা আদালতকে দিয়ে কার্যকর করাতে চাওয়া হচ্ছে।’’
মামলাকারী আইনজীবী একত্রবাসে থাকা যুগলদের সামাজিক নিরাপত্তা বাড়ানোর কথা তুললে তাঁর বুদ্ধিমত্তা নিয়েও প্রশ্ন তোলে শীর্ষ আদালত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy