Advertisement
২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
Electrocuted

স্কুল থেকে ফেরার পথে বিদ্যুতের খোলা তার জড়িয়ে গেল সাইকেলে, মৃত এক পড়ুয়া, গুরুতর অন্য জন

স্থানীয় সূত্রে খবর, তনভীর এবং আদম নামে দুই স্কুলপড়ুয়া একই সাইকেলে করে স্কুল থেকে বাড়ি ফিরছিল। সাইকেল চালাচ্ছিল তনভীর। পিছনে বসে ছিল আদম।

দুর্ঘটনার সেই দৃশ্য।

দুর্ঘটনার সেই দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ অগস্ট ২০২৪ ১১:৩৩
Share: Save:

স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল বছর এগারোর এক পড়ুয়ার। গুরুতর জখম হল তারই সহপাঠী। হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছে। বুধবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে অন্ধ্রপ্রদেশের কাডাপা শহরে।

স্থানীয় সূত্রে খবর, তনভীর এবং আদম নামে দুই স্কুলপড়ুয়া একই সাইকেলে করে স্কুল থেকে বাড়ি ফিরছিল। সাইকেল চালাচ্ছিল তনভীর। পিছনে বসে ছিল আদম। পথেই একটি জায়গায় বিদ্যুতের খুঁটি থেকে তার ছিঁড়ে রাস্তার উপরে ঝুলছিল। সেটি খেয়াল করেনি দুই পড়ুয়া। গল্প করতে করতে তারা ফিরছিল। সেই তারই সাইকেলে জড়িয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় দুই নাবালক পড়ুয়া।

তাদের বিদ্যুৎস্পৃষ্ট অবস্থায় দেখে স্থানীয়রা ছুটে আসেন। তারাই সেই তার সরান। কিন্তু তত ক্ষণে মৃত্যু হয়েছিল তনভীরের। গুরুতর জখম অবস্থায় আদমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পড়ুয়ার মৃত্যুর ঘটনার পরই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। স্থানীয়েরা বিদ্যুৎ দফতরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন।

তাঁদের অভিযোগ, নিয়মিত এলাকা পরিদর্শনে আসেন না বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরা। বিদ্যুতের খুঁটি থেকে তার ছিঁড়ে রাস্তায় পড়ে ছিল। এই ঘটনা অন্য কারও সঙ্গেও ঘটতে পারত। বিদ্যুৎ দফতরের গাফিলতির কারণে এক পড়ুয়ার প্রাণ গেল। এই ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, ডিশ টিভির তারের সঙ্গে বিদ্যুতের খোলা তার জড়িয়ে থাকাতেই এই দুর্ঘটনা। কাডাপার বিধায়ক মাধবী রেড্ডি এই ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করে মৃতের পরিবারকে সব রকম সহযোগিতা করার আশ্রাস দিয়েছেন। বিদ্যুৎ দফতরের বিরুদ্ধেও ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Electrocuted Andhra Pradesh
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE