প্রতীকী ছবি।
ভুয়ো ভোটার কার্ডের চিহ্নিতকরণ ও ত্রুটিমুক্ত ভোটার তালিকা তৈরিতে আধার কার্ডের সঙ্গে ভোটার কার্ডের সংযুক্তিকরণের প্রস্তাব আইন মন্ত্রকের কাছে আগেই পাঠিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। সংযুক্তিকরণের সেই প্রস্তাবকে এ বার সমর্থন জানাল আইন মন্ত্রকের সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। ওই কমিটির মতে, সংযুক্তিকরণ হলে এক দিকে ভুয়ো ভোটার চিহ্নিতকরণ হবে। তেমনই ওই পদক্ষেপ আখেরে গণতন্ত্রকেই মজবুত করবে। তবে শুরুতেই সংযুক্তিকরণের ধোঁয়াশা কাটাতে নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দিয়েছে যে, কোনও ব্যক্তির নাম ভোটার তালিকায় থাকলেই তিনি ভোট দিতে পারবেন। তাঁর আধার কার্ড রয়েছে কি না বা থাকলে ভোটার কার্ডের সঙ্গে সেই আধারের সংযুক্তিকরণ হয়েছে কি না, তা ভোটের সময়ে বিবেচনা করা হবে না।
দীর্ঘ সময় ধরেই আধার কার্ডের সঙ্গে ভোটার কার্ডের সংযুক্তিকরণের পক্ষে সওয়াল করে আসছিল কমিশন। কর্মসূত্রে নিজের রাজ্যের বাইরে কাজ করতে যাওয়া বড় সংখ্যক মানুষ একাধিক ভোটার কার্ড তৈরি করে রাখেন বলেই মত কমিশনের। তাই ভুয়ো ভোটারদের চিহ্নিতকরণ, ত্রুটিমুক্ত ভোটার তালিকা তৈরি করতে আইন মন্ত্রকের কাছে দুই কার্ডের সংযুক্তিকরণের দাবি করে কমিশন। সেই দাবিকে যথার্থ বলেই মনে করছে আইন মন্ত্রকের সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। শুক্রবার সংসদে জমা পড়া কমিটির রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘‘গণতন্ত্রের স্বার্থে আধার কার্ডের সঙ্গে ভোটার কার্ডের সংযুক্তিকরণ প্রয়োজন। কেন্দ্রের উচিত এ নিয়ে পদক্ষেপ করা।’’
অতীতে আধার কার্ডের সঙ্গে প্যান কার্ড বা মোবাইল ফোন নম্বরের সংযুক্তিকরণ ঘিরে প্রবল বিরোধিতা ও সংশয় তৈরি হয়েছিল জনমানসে। তাই ভোটার-আধার কার্ডের সংযুক্তিকরণ নিয়ে আলোচনা শুরু হতেই কমিশন জানিয়েছে যে, এর সঙ্গে ভোট দেওয়ার কোনও সম্পর্ক নেই। কোনও ব্যক্তির নাম ভোটার তালিকায় থাকলেই তিনি ভোট দিতে পারবেন। তাঁর আধার কার্ড রয়েছে কি না বা সেটির সংযুক্তিকরণ হয়েছে না হয়নি, তা ভোটের সময়ে অপ্রাসঙ্গিক। কমিশনের এক শীর্ষ কর্তার বক্তব্য, ‘‘জনপ্রতিনিধিত্ব আইন প্রত্যেক ব্যক্তির ভোট দেওয়ার অধিকারকে সুনিশ্চিত করেছে। আধার কার্ডের থাকা না-থাকা তা কেড়ে নিতে পারে না।’’
তবে ওই সংযুক্তিকরণ প্রক্রিয়ার জন্য জনপ্রতিনিধিত্ব আইনে পরিবর্তন আনার প্রয়োজন রয়েছে বলে জানিয়েছে কমিশন। সে কারণে আইন মন্ত্রকের কাছে সংশ্লিষ্ট আইন পরিবর্তনের জন্য সুপারিশও করেছে তারা। যাতে এক জন রেজিস্ট্রেশন অফিসার এক দিকে নতুন আবেদনকারীর কাছ থেকে আধার নম্বর চাইতে পারবেন। অন্য দিকে যাঁদের ভোটার কার্ড ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছে তাঁদের কাছ থেকেও আধার নম্বর সংগ্রহ করার অধিকার থাকবে ওই অফিসারের। তবে দুই কার্ডের সংযুক্তিকরণ ঐচ্ছিক হবে না বাধ্যতামূলক হবে সেই সিদ্ধান্ত আইন মন্ত্রকের হাতেই ছেড়ে দিয়েছে কমিশন।
আরও পড়ুন: রক্ষাকর্তা মহেন্দ্রকে ভুলবে না গোকুলপুরী
বছর পাঁচেক আগে নির্বাচন কমিশন স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে ওই সংযুক্তিকরণের কাজ শুরু করেছিল। কিন্তু ২০১৫ সালে সুপ্রিম কোর্ট ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তা ও ব্যক্তি পরিসরের অধিকার নিয়ে প্রশ্ন তোলায় সে বছরের অগস্ট মাস থেকে ওই কাজ বন্ধ হয়ে যায়। তত দিনে অবশ্য প্রায় ৪০ কোটি ভোটারের কাছ থেকে আধার সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করে ফেলেছিল নির্বাচন কমিশন। এখন আইনে পরিবর্তন এনে বাকি সংযুক্তিকরণের কাজ সেরে ফেলার পক্ষপাতী তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy