২০২২ সালের ১৬ মে ভাড়াবাড়ি থেকে বৃদ্ধার দেহ উদ্ধার হয়। প্রতীকী ছবি।
পঁচাত্তর বছরের বিধবা ভাড়াটেকে উৎখাত করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছিলেন। তবে তাতে সফল হননি। সে জন্যই বৃদ্ধাকে খুন করেছেন বাড়িওয়ালা। প্রায় ন’মাস আগে এমনই অভিযোগ করেছিলেন ওই বৃদ্ধার এক আত্মীয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে আদালতের নির্দেশে জানুয়ারি থেকে নতুন করে তদন্তে নেমেছিল ঠাণে পুলিশ। যদিও রবিবার পুলিশ জানিয়েছে, ওই বৃদ্ধাকে খুনে অভিযুক্ত তাঁর বাড়িওয়ালা এবং তাঁর স্ত্রী-পুত্রকে গ্রেফতার করা হয়নি।
পুলিশ সূত্রে খবর, মহারাষ্ট্রের ঠাণের কল্যাণ শহরের একটি বাড়িতে ১৯৯০ সাল থেকে ভাড়া থাকতেন ওয়াহিদাবাঈ নুর মহম্মহ শেখ নামের ওই বৃদ্ধা। তাঁর ভাইপোর দাবি, সে বাড়ি ভেঙে বহুতল বানানোর তোড়জোড় শুরু করেছিলেন বাড়িওয়ালা। সে জন্য বৃদ্ধাকে ভাড়াবাড়ি থেকে বলপূর্বক উৎখাতের চেষ্টায় ছিলেন। তবে ওই বাড়ি ছাড়তে রাজি ছিলেন না বৃদ্ধা। এ নিয়ে বাড়িওয়ালার বিরুদ্ধে তাঁর কাছে অভিযোগও করেছিলেন।
পুলিশের কাছে অভিযোগপত্রে ভাইপোর আরও দাবি, গত বছরের ১৩ মে ওই ভাড়াবাড়িতে গিয়ে বৃদ্ধার সঙ্গে দেখা করেছিলেন তিনি। এর ৩ দিন পরই তাঁর মৃত্যু হয় বলে জানতে পারেন। ভাড়াবাড়িতে গিয়ে দেখেন, বৃদ্ধার দেহে কালশিটে পড়ে গিয়েছে। তাঁর ঘরে রক্তের দাগও মিলেছিল। এর পর স্থানীয় বাজারপেট থানার দ্বারস্থ হন তিনি। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলার রুজু করে বৃদ্ধার দেহের ময়নাতদন্ত করেছে পুলিশ। গত জানুয়ারিতে স্থানীয় আদালতের দ্বারস্থ হন বৃদ্ধার আত্মীয়। এর পর আদালতের নির্দেশে বাড়িওয়ালা এভং তাঁর স্ত্রী-পুত্রের বিরুদ্ধে শনিবার খুনের অভিযোগ দায়ের করে নতুন করে তদন্ত শুরু করে তারা। তাঁদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ (খুন), ২০১ (প্রমাণ লোপাট)-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy