এ বার ভানাটুর নাগরিকত্ব নিলেন ললিত মোদী। আজ বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, পাসপোর্ট ফিরিয়ে দিতে চেয়ে লন্ডনের ভারতীয় দূতাবাসে আবেদন করেছেন তিনি। পশ্চিমবঙ্গের কয়লা পাচার মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত প্রাক্তন যুব তৃণমূল নেতা বিনয় মিশ্রও এখন প্রশান্ত মহাসাগরীয় ওই দ্বীপরাষ্ট্রের নাগরিক। তাঁরই অনুগমন করলেন আইপিএল দুর্নীতির পলাতক অভিযুক্ত ললিত।
ললিত আইপিএলের প্রতিষ্ঠাতা। সেই প্রতিষ্ঠানের শীর্ষপদে থাকাকালীন তিনি বিপুল অঙ্কের দুর্নীতি করেন বলে অভিযোগ। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের কোটি কোটি টাকা নয়ছয় করার অভিযোগও রয়েছে ললিতের বিরুদ্ধে। ২০১০ সালের মে মাসে দেশ ছাড়া ইস্তক লন্ডনেই আছেন তিনি। সেখানে তাঁকে দেখা গিয়েছে এ দেশের প্রাক্তন প্রাক্তন সলিসিটর জেনারেল হরিশ সালভের বিয়ের অনুষ্ঠানে। কয়েক মাস আগেই সাক্ষাৎকারে ললিত দাবি করেছিলেন, ম্যাচ গড়াপেটা করতে না পেরে তাঁকে খুনের হুমকি দিচ্ছিল গ্যাংস্টার দাউদ ইব্রাহিম। তাই লন্ডনে চলে গিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “আমার বিরুদ্ধে কোনও মামলা নেই দেশে। চাইলেই ফিরতে পারি।”
গত এক দশকের বেশি সময়ের চেষ্টাতেও বিভিন্ন কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা ললিতের নাগাল পায়নি। বিরোধী শিবিরের অভিযোগ, নরেন্দ্র মোদীর সরকারের আমলে ললিতের বিরুদ্ধে তদন্ত থমকে রয়েছে। তৎপরতা নেই তাঁর প্রত্যর্পণের ব্যাপারেও। এ বার পাকাপাকি অন্য দেশের নাগরিকত্ব নিলেন ললিত। এ দিকে, সিবিআই ২০১৮ সালের কয়লা পাচার মামলায় কোর্টে জানিয়েছে, বিনয় ভানাটুতে আছেন। এখনও দেশে ফেরানো যায়নি তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের একাংশের ঘনিষ্ঠ ওই অভিযুক্তকেও।
ললিতের পাসপোর্ট ফিরিয়ে দিতে চাওয়ার আবেদনের কথা জানিয়ে আজ বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “নিয়ম ও পদ্ধতি অনুযায়ী ওই আবেদন দেখা হবে। আমাদের বলা হয়েছে, তিনি ভানাটুর নাগরিকত্ব নিয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে থাকা মামলা আইন অনুযায়ী চালিয়ে যাওয়া হবে।”
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)