Advertisement
০২ নভেম্বর ২০২৪
Assam

Silchar: কীর্তির দলের সঙ্গে দুর্ব্যবহার, অভিযুক্ত বিধায়ক

জেলায় কর্মরত ৩০ জন অফিসার লক্ষ্মীপুরের বিধায়ক কৌশিক রাইয়ের বিরুদ্ধে  মুখ্যসচিবের কাছে লিখিত নালিশ জানিয়েছেন৷

ছবি: টুইটার।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলচর শেষ আপডেট: ২৯ মে ২০২২ ০৯:১৫
Share: Save:

বন্যায় কাছাড়ের জেলাশাসক কীর্তি জল্লির কাদায় হাঁটার ছবি যখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে, সে সময় একই জেলায় শাসক দলের এক বিধায়কের বিরুদ্ধে জল্লি-টিমের অফিসারদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে৷ জেলায় কর্মরত ৩০ জন অফিসার লক্ষ্মীপুরের বিধায়ক কৌশিক রাইয়ের বিরুদ্ধে মুখ্যসচিবের কাছে লিখিত নালিশ জানিয়েছেন৷ তাঁরা জানান, নগরোন্নয়ন মন্ত্রী অশোক সিঙ্ঘলের বন্যাদুর্গত এলাকা সফরের সময়ে সঙ্গে ছিলেন দুই সার্কল অফিসার দীপঙ্কর নাথ ও বিকাশ ছেত্রী এবং বিডিও হোসেন মহম্মদ মুবিন৷ ছিলেন লক্ষ্মীপুরের বিধায়ক -সহ বিজেপির এক ঝাঁক নেতা-কর্মী ও স্থানীয় বাসিন্দারা৷ সকলের সামনেই বিধায়ক অফিসারদের ‘ত্রাণসামগ্রী চোর’ বলে গালিগালাজ করেন৷ দীপঙ্কর নাথ ত্রাণসামগ্রী আত্মসাতের অভিযোগ অস্বীকার করলে বিধায়ক চড় দেখান৷ বলেন, "তোমাকে চড়াতে হয়৷" তিনি সার্কল অফিসারের এমবিবিএস ডিগ্রি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বলে চিঠিতে উল্লেখ করেছেন অফিসারেরা৷ মুখ্যসচিবের পাশাপাশি তাঁরা চিঠি পাঠিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীর প্রধান সচিব এবং কর্মচারী বিষয়ক সচিবকেও৷ অফিসারদের অভিযোগ, বিধায়ক গোটা কাছাড়ের অফিসারদের সম্পর্কেও নানা আপত্তিজনক মন্তব্য করেছেন৷

লক্ষ্মীপুরের বিধায়ক কৌশিক রাই অবশ্য সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেন৷ তিনি বলেন, "আমার এলাকার তিনটি পঞ্চায়েত সোনাই সার্কলের অধীনে৷ ওই সব এলাকার মানুষ জলমগ্ন থাকলেও কোনও ত্রাণ পাননি বলে অভিযোগ করেছেন৷ আমি তাই সোনাইয়ের সার্কল অফিসারকে ডেকে এর কারণ জানতে চেয়েছিলাম৷" সব অফিসারদের সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্যের কোনও প্রশ্নই ওঠে না বলে সাফাই দেন কৌশিক৷ তাঁর কথায়, "অফিসারদের সঙ্গে আমার সম্পর্ক সব সময়েই ভালো৷"

নগরোন্নয়ন মন্ত্রী অশোক সিঙ্ঘল এই বিষয়ে মন্তব্য করতে চাননি৷ সংবাদমাধ্যমের কাছে মন্তব্যে নারাজ অফিসাররাও৷

তবে কৌশিকের সমালোচনায় সরব হয়েছেন বিরোধীরা৷ জেলা কংগ্রেস সভাপতি তমালকান্তি বণিক বলেন, ‘‘বন্যার সময়ে অফিসাররা দিনরাত কঠোর পরিশ্রম করে চলেছেন৷ তাঁদের প্রশংসার বদলে দুর্ব্যবহার পাওয়া দুর্ভাগ্যজনক৷’’ তমালের আশঙ্কা, প্রশাসনের উপরে চাপ সৃষ্টি করে কৌশিকেরা নিজেদের ফায়দা তুলতে চাইছেন৷ তিনি কৌশিক কাণ্ডের তদন্ত দাবি করেন৷ বরাক ডেমোক্র্যাটিক ইয়ুথ ফ্রন্টের মুখ্য আহ্বায়ক কল্পার্নব গুপ্ত বলেন, ‘‘যদি কোনও অফিসারের বিরুদ্ধে বিধায়কের অভিযোগ থাকে, তা জানানোর প্রক্রিয়া রয়েছে৷ কৌশিক রাই যে ভাবে প্রকাশ্যে গালিগালাজ করেছেন, তা নিন্দনীয়৷’’ ৩০ জন অফিসারের ক্ষোভ প্রকাশ নিয়ে ফ্রন্টের আশঙ্কা, এর প্রভাব জনগণের উপরে পড়তে পারে৷ তাঁরা কৌশিকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ দাবি করেন৷

বিজেপির কাছাড় জেলা কমিটি দলীয় বিধায়কেরই পাশে দাঁড়িয়েছে৷ জেলা সভাপতি বিমলেন্দু রায় ও বিধানসভার প্রাক্তন ডেপুটি স্পিকার আমিনুল হক লস্কর বলেন, "আমরাও সেদিন মন্ত্রীর সফরসঙ্গী ছিলাম৷ কৌশিক অফিসারদের সঙ্গে কোনও অশোভন আচরণ করেননি৷" তাঁদের কথায়, আসলে ব্রহ্মপুত্র উপত্যকার বাসিন্দা দুই-তিনজন অফিসার চাইছেন, বদলি নিয়ে ব্রহ্মপুত্রে ফিরতে৷ ভেবেছেন, ও ভাবে নালিশ জানালে সরকার তাঁদের এখান থেকে বদলি করে দেবে৷

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তেফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ

অন্য বিষয়গুলি:

Assam keerthi jalli
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE