Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
Santosh Gangwar

মূল্যবৃদ্ধি সূচকের ভিত্তিবর্ষে বদল

মন্ত্রীর বক্তব্য, সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ভিত্তিবর্ষ না-পাল্টালে মূল্যবৃদ্ধির প্রকৃত ছবি সূচকে ফুটে ওঠে না।

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৩ অক্টোবর ২০২০ ০৩:০৫
Share: Save:

শহরাঞ্চলের জন্য খুচরো মূল্যবৃদ্ধি সূচক হিসেবের ভিত্তিবর্ষ ২০০১ থেকে পাল্টে ২০১৬ সাল করল কেন্দ্রীয় শ্রম মন্ত্রক। শ্রমমন্ত্রী সন্তোষ গঙ্গোয়ারের দাবি, এ বার থেকে এই ভিত্তিবর্ষ প্রতি পাঁচ বছরে নিয়ম করে পাল্টানো হবে। অগস্টের মধ্যে পাল্টানো হবে গ্রামাঞ্চলের খুচরো মূল্যবৃদ্ধি সূচক হিসেবের ভিত্তিবর্ষও।

এমনিতে আর্থিক নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে এই দুই খুচরো মূল্যবৃদ্ধি সূচকের (মূলত শিল্প ও কৃষিক্ষেত্রে নিযুক্ত শ্রমিকদের সমীক্ষা করে তৈরি) গুরুত্ব অনেক। যেমন, কল-কারখানায় ন্যূনতম মজুরি ঠিক করা থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা ঠিক করা হয় মূলত শহুরে কর্মীদের জন্য হিসেব করা খুচরো মূল্যবৃদ্ধি সূচকের ভিত্তিতে।

মন্ত্রীর বক্তব্য, সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ভিত্তিবর্ষ না-পাল্টালে মূল্যবৃদ্ধির প্রকৃত ছবি সূচকে ফুটে ওঠে না। কারণ, মাঝের সময়ে আমূল বদলে যায় ব্যবহৃত পণ্য-পরিষেবার তালিকা। যেমন, ২০০১ সালে মোবাইল (বিশেষত স্মার্ট ফোন) ব্যবহার করতেন খুব কম জন। অথচ এখন তা হাতে-হাতে। তাই এ ধরনের বদল সূচকে ফুটে না-উঠলে হিসেবে অনেক গলদ থেকে যায়। শ্রম ব্যুরো জানিয়েছে, ভিত্তিবর্ষ পাল্টানোয় শুধু যে পণ্য ও পরিষেবার তালিকা বদলেছে, তা নয়। পাল্টেছে তাদের আপেক্ষিক গুরুত্বও। যা মূলত নির্ভর করে আয়ের কত অংশ কীসে ব্যয় হচ্ছে, তার উপরে। ২০০১ সালে খাদ্য ও পানীয়, আবাসন এবং শিক্ষা-স্বাস্থ্যের মতো অন্যান্য খাতে আপেক্ষিক গুরুত্ব ধরা হয়েছিল যথাক্রমে ৪৬.২, ১৫.২ এবং ২৩ শতাংশ। ২০১৬-তে তা ৩৯, ১৬.৮৭ এবং ৩০ শতাংশ। এই বদলের জন্য গবেষকরা এবং ট্রেড ইউনিয়নগুলি দীর্ঘ দিন ধরে দাবি জানাচ্ছিল বলেও তাদের দাবি।

অন্য বিষয়গুলি:

Labour Minister Santosh Gangwar
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE