Advertisement
২৬ নভেম্বর ২০২৪
Kozhikode Plane crash

বিমানবন্দর নিয়ে আগেও সতর্ক করা হয়েছিল, উদ্ধার হল ব্ল্যাক বক্স

শুক্রবার দুপুর ২টোর সময় দুবাই থেকে রওনা দিয়েছিল এয়ার ইন্ডিয়ার আইএক্স১৩৪৪ বিমানটি।

কোঝিকোড়ে ভেঙে পড়া বিমান। ছবি: এএফপি।

কোঝিকোড়ে ভেঙে পড়া বিমান। ছবি: এএফপি।

সংবাদ সংস্থা
কোঝিকোড় শেষ আপডেট: ০৮ অগস্ট ২০২০ ১২:৫৮
Share: Save:

কোঝিকোড়ে দুর্ঘটনাগ্রস্ত এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানের ব্ল্যাক বক্স উদ্ধার হল শনিবার সকালে। ডাইরেক্টেরট জেনারেল অব সিভিল অ্যাভিয়েশন (ডিজিসিএ) সূত্রে এমনটাই জানানো হয়েছে। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এ দিন সকালেই ঘটনাস্থলে পৌঁছন কেন্দ্রীয় বিদেশ প্রতিমন্ত্রী ভি মুরলীধরন। ঘটনাস্থল সরেজমিনে দেখার পর তিনি বলেন, “কী ভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” অন্য দিকে, উদ্ধারকাজের জন্য মালাপ্পুরম এবং ওয়নাড থেকে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর(এনডিআরএফ) দুটি এবং সিআইএসএফ-এর একটি দল এ দিন সকালেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে।

শুক্রবার রাতের এই দুর্ঘটনায় পাইলট ও কো-পাইলট-সহ এখনও পর্যন্ত ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ১৭৩ জন যাত্রী। কোঝিকোড় এবং মালাপ্পুরমের বিভিন্ন হাসপাতালে ১৪৯ জন যাত্রীর চিকিত্সা চলছে। ২২ জনের অবস্থা গুরুতর।

শুক্রবার দুপুর ২টোর সময় দুবাই থেকে রওনা দিয়েছিল এয়ার ইন্ডিয়ার আইএক্স১৩৪৪ বিমানটি। কোঝিকোড়ের কারিপুর বিমানবন্দরে নামার কথা ছিল সন্ধে ৭টা বেজে ২৭ মিনিটে। কিন্তু দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে বিমানটির অবতরণে সমস্যা হয়। ফ্লাইট ট্র্যাকার ওয়েবসাইট ফ্লাইটরাডার২৪ জানাচ্ছে, দু’বার নামতে গিয়েও ব্যর্থ হয় বিমানটি। ফলে আকাশে বেশ কিছু ক্ষণ চক্কর কাটে সেটি। অঝোরে বৃষ্টি পড়ছিল তখন। পাইলট তৃতীয় বার নামার চেষ্টা করতেই বিমানটি পিছলে যায়। ৩৫ ফুট গভীর খাদে গিয়ে পড়ে দু’টুকরো হয়ে যায়।

আরও পড়ুন: ‘বিমানের সিটের নীচে আটকে ছটফট করছিল শিশুরা’

কোঝিকোড় বিমানবন্দরটি ‘টেবল টপ’-এ হওয়ার জন্য বিমান ওঠানামায় বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। রানওয়ে দৈর্ঘ্যে ছোট হওয়ায় বোয়িং ৭৭৭ এবং এয়ারবাস এ৩৩০-সহ বহু বড় বিমান এই বিমানবন্দরে ওঠানামা বন্ধ করে দিয়েছিল। এয়ার সেফটি বিশেষজ্ঞ ক্যাপ্টেন মোহন রঙ্গনাথন জানান, এই বিমানবন্দর বিমান ওঠানামার ক্ষেত্রে যে নিরাপদ নয় তা সবিস্তার রিপোর্টে জানিয়েছিলেন আজ থেকে ৯ বছর আগে। তিনি বলেন, “কেরলের চারটে বিমানবন্দরের মধ্যে কোঝিকোড় বিমানবন্দরের রানওয়ে তুলনামূলক অনেক ছোট। এর আগেও বৃষ্টির কারণে রানওয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।”

তাঁর অভিযোগ, রানওয়ের শেষে গভীর খাদ। ফলে বিপদের একটা সমূহ সম্ভাবনা থাকত সব সময়ই। ৯ বছর আগে এ ব্যাপারে জানানো সত্ত্বেও বিমান ওঠানামা বন্ধ হয়নি। শুধু তাই নয়, বিমানবন্দরটিকে নিরাপদ বলে ঘোষণা করা হয়েছিল।

অন্য বিষয়গুলি:

Kozhikode Plane crash Kerala
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy