Know about Odisha's village Satabhaya's story dgtl
Odisha
বালিতে ঢেকেছে ঘর, একমাত্র মন্দির মূর্তিহীন, গমগম করা ওড়িশার এই গ্রাম আজ প্রায় জনহীন
সেই গ্রাম আজ শূন্যপ্রায়। বালির মধ্যে অর্ধেক ঢাকা পড়েছে জলের কল। গ্রামের একমাত্র মন্দির মূর্তিহীন।
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০২১ ১২:৫২
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১২
ওড়িশার উপকূলবর্তী জেলা কেন্দ্রাপাড়ার অন্তর্গত সাতভায়া গ্রাম। কয়েক বছর আগেও গমগম করত এই গ্রাম। দিনভর নানা কাজে ব্যস্ত থাকতেন গ্রামবাসীরা। সন্ধ্যা হলে ঘরে ঘরে জ্বলে উঠত আলো।
০২১২
সারা দিন মন্দিরে ভিড় জমাতেন মহিলারা। সেই গ্রাম আজ শূন্যপ্রায়। বালির মধ্যে অর্ধেক ঢাকা পড়েছে জলের কল। গ্রামের একমাত্র মন্দির মূর্তিহীন। মন্দিরও ভরে গিয়েছে বালির স্তূপে।
০৩১২
চাষাবাদ এবং মাছ ধরা ছিল এই গ্রামের বাসিন্দাদের মূল জীবিকা। কিন্তু সমুদ্র ক্রমে এগিয়ে আসতে শুরু করে। ধীরে ধীরে তা চাষের জমি গ্রাস করে নিতে থাকে।
০৪১২
সমুদ্রের নোনা জল মাটিকে আরও লবণাক্ত করে তোলে। যার ফলে ফসল নষ্ট হতে শুরু করে। চাষাবাদ প্রায় অসম্ভব হয়ে যায়।
০৫১২
সমুদ্রের গ্রাস থেকে রক্ষা পায়নি ঘরবাড়িও। একের পর এক বাড়িতে সমুদ্রের জল ঢুকতে শুরু করে।
০৬১২
এক সময়ে ৭০০ পরিবার বাস করত গ্রামে। ২০১৮ সালে এই গ্রামের বেশির ভাগ বাসিন্দাকে পুনর্বাসন দেওয়া হয়। বহু মানুষ তাঁদের ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে যান।
০৭১২
সেই জনবহুল গ্রাম আজ সমুদ্রের দিকে চেয়ে প্রায় একা দাঁড়িয়ে রয়েছে। হাতেগোনা কয়েক জন আজও ভিটেমাটি আঁকড়ে পড়ে রয়েছেন।
০৮১২
কিন্তু জীবনধারণের জন্য, খাবারের জোগান করতে তাঁদের নিকটবর্তী গ্রামে যেতে হয় রোজ।
০৯১২
জলে ডুবে থাকা ৫ কিলোমিটার সঙ্কীর্ণ রাস্তা জীবন হাতে নিয়ে পায়ে হেঁটে পার হতে হয়। কারণ ঘোলা জলে ঘাপটি মেরে বসে থাকা কুমিরদের আগে থেকে দেখতে পাওয়া সম্ভব হয় না বেশির ভাগ সময়ই।
১০১২
উপকূল অঞ্চল জলের তলায় চলে যাওয়া ওড়িশার বহু দিনের সমস্যা।
১১১২
ন্যাশনাল সেন্টার ফর কোস্টাল রিসার্চ-এর হিসাব অনুযায়ী ১৯৯০ সাল থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে ওড়িশা তার মোট ৫৫০ কিলোমিটার উপকূল অঞ্চলের মধ্যে ২৮ শতাংশ হারিয়ে ফেলেছে।
১২১২
এর মধ্যে শুধু কেন্দ্রাপাড়া জেলা হারিয়েছে ৩১ কিলোমিটার উপকূল অঞ্চল।