কামাখ্যা মন্দিরে টম অধিকারী (বাঁ দিকে) এবং দেবরাজ সিংহ (ডান দিকে)। ফাইল ছবি।
“বাংলার রসগোল্লা নয়, দিল্লির লাড্ডু খেতেই আগ্রহী”— এমনই জানিয়েছেন কেএলও প্রধান জীবন সিংহ।
জীবন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসতে আগ্রহী নন বলে জানানোর পরে তাঁকে ফোনে কেএলও প্রাক্তনীরা হুমকি দিয়েছেন বলে দাবি করেছেন ‘ধর্মপুত্র’ দেবরাজ সিংহ। সেই খবর পেয়ে ধর্মপুত্রকে জীবন জানিয়েছেন, প্রাক্তনীদের দিয়ে ভয় দেখিয়ে বা চাপ দিয়ে তাঁকে আলোচনায় বসাতে পারবেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এ ভাবে জোর করে কেএলও-র আদর্শ ও দাবির সঙ্গে আপস করতে বাধ্য করলে ‘হিতে-বিপরীত’ হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
দেবরাজের দাবি, জীবন সিংহ পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সঙ্গে আলোচনায় আগ্রহী নন, সেই সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পরে কেএলও-র প্রাক্তন সেনাধ্যক্ষ টম অধিকারী তাঁকে ফোন করে রাগারাগি করেছেন। হুমকি দিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রস্তাবিত স্বশাসিত পরিষদের প্রস্তাবে যদি জীবন রাজি না হন, তবে পরে তাঁকে পস্তাতে হবে। তখন জীবনের হাতে পাওনা বলতে থাকবে ‘লাড্ডু’। দেবরাজ বলেন, ‘‘দলনেতার প্রতি এমন অসম্মানজনক মন্তব্য আমি বাবাকে সরাসরি জানিয়েছিলাম। বাবা বলে পাঠিয়েছেন, তিনি লাড্ডু খেলে দিল্লির লাড্ডুই খাবেন। বাংলার রসগোল্লার ভুয়ো প্রলোভনে তাঁর আর আগ্রহ নেই।’’
বিষয়টি নিয়ে টমের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁকে ফোনে পাওয়া যায়নি। আলিপুরদুয়ারের এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, “এটা ছেলেমানুষি। জীবন সিংহ যদি প্রকৃত অর্থেই শান্তি আলোচনার মাধ্যমে সমাধান চান, তা হলে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সঙ্গে তাঁর আলোচনায় বসা উচিত।” আলিপুরদুয়ারের এক প্রাক্তন কেএলও জঙ্গিও বলেন, “আমাদের আন্দোলন শুরু হয়েছিল এ রাজ্যের ছ’টি জেলাকে নিয়ে। এখন তা আটটি জেলা হয়েছে। তার পরেও এ রাজ্যকে বাদ দিয়ে জীবন কেন শান্তি আলোচনার জন্য শুধুমাত্র অসম ও কেন্দ্রীয় সরকারের কথা বলছেন, সেটা মাথায় ঢুকছে না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy