জীবনের বার্তায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের প্রসঙ্গ শোনা গিয়েছে। ফাইল ছবি
স্বাধীনতা দিবসের ঠিক দু’দিন আগে, শনিবার ফের কেএলও প্রধান জীবন সিংহের ভিডিয়ো-বার্তা (আনন্দবাজার সত্যতা যাচাই করেনি) ছড়িয়ে পড়ল সমাজমাধ্যমে। সে বার্তায় জীবনের দাবি, কোচ-কামতাপুরী বাসিন্দাদের পৃথক রাজ্য গঠনের দাবি সমর্থন করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা, সমর্থন করেছে আরএসএস। কোচ-কামতাপুরের সংখ্যাগরিষ্ঠ বিধায়ক-সাংসদদেরও সে দাবিতে সমর্থন রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সতর্কতায় কোনও রকম ফাঁক রাখছে না রাজ্য পুলিশ-প্রশাসন।
এর আগে, দাবি পেশ বা শান্তি আলোচনা প্রসঙ্গে জীবনের বার্তায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের প্রসঙ্গ শোনা গিয়েছে। এ বার সরাসরি বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি এবং আরএসএসের ‘সমর্থনের’ কথা জীবনের মুখে শোনা গেল। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে বিজেপি বা আরএসএসের তরফে পাল্টা বিবৃতি এখনও প্রকাশ হয়নি।
স্বাধীনতা দিবসে নাগাল্যান্ড হয়ে জীবন ভারতে ঢুকতে পারেন বলে সম্প্রতি কয়েকটি মহল থেকে ইঙ্গিত মিলছিল। তবে তাঁর ভারতে ফেরার সিদ্ধান্তে সহমত নয় আলফা স্বাধীন এবং এনএসসিএন (ইয়ং-অং)। জীবনের ‘ঘনিষ্ঠদের’ সূত্রে জানা গিয়েছে, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তাঁর ভারতে ফেরার তারিখ পিছোতে পারে।
রাজ্য পুলিশের একটি অংশের দাবি, সম্ভবত জীবন এখনই দেশে আসবেন না। কারণ, তাঁর নামে একাধিক ফৌজদারি মামলা, দেশদ্রোহিতার মামলা রয়েছে। শান্তি চুক্তির আগে, তাঁকে কোনও ভাবে সরকারি উৎসবে শামিল করা সম্ভব নয়।
তবে রাজ্য পুলিশ ঝুঁকি নিতে নারাজ। জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, শিলিগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং মালদহে নানা ‘গুরুত্বপূর্ণ’ জায়গায় সাদা পোশাকে পুলিশকর্মীদের মোতায়েন করা হয়েছে। জীবন সিংহের বাড়ি, তাঁর আত্মীয়দের বাড়ি, জেলাগুলিতে কেএলও-র পুরনো ঘাঁটিগুলিতে বিশেষ নজর রাখা হয়েছে। নজর রাখা হয়েছে বিশেষ কয়েক জনের গতিবিধির উপরে। রাজ্য পুলিশের এক শীর্ষ কর্তার দাবি, ‘‘জীবন প্রকাশ্যে এলে রাজ্যের কয়েকটি জেলায় কী পরিস্থিতি হতে পারে, সে কথা মাথায় রাখা হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy