কেরলে আত্মহত্যা ১৯ বছরের তরুণীর। — প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
মাত্র সাত মাস আগেই বিয়ে হয়েছিল ১৯ বছরের কলেজপড়ুয়া সাহানা মুমতাজের। কিন্তু ঝরঝরে ইংরেজি বলতে পারতেন না। অভিযোগ, এ জন্য নাকি তাঁকে প্রায়ই হেনস্থা করতেন স্বামী। সেই অপমানেই আত্মঘাতী হয়েছেন সাহানা। মঙ্গলবার কেরলের মলপ্পুরমে ঘটনাটি ঘটেছে।
মঙ্গলবার সকালে মলপ্পুরম জেলায় নিজের বাড়ি থেকেই তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯ বছরের সদ্যবিবাহিতা ওই তরুণী স্থানীয় এক কলেজে গণিতের প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। গত বছরের মে মাসে আব্দুল ওয়াহাব নামে এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল তাঁর। আব্দুল আবু ধাবির একটি সংস্থায় কাজ করতেন। বিয়ের মাত্র ২২ দিন পরেই সাহানাকে রেখে আবু ধাবি ফিরে যান তিনি। অভিযোগ, এর পর থেকেই স্ত্রীকে উপেক্ষা করতে শুরু করেন ওই যুবক।
সাহানার পরিবারের দাবি, ইংরেজিতে দক্ষতা না থাকা এবং গায়ের রঙের জন্য শ্বশুরবাড়িতে প্রায়ই অপমানিত হতে হত তাঁদের কন্যাকে। স্বামী ও শাশুড়ি সাহানাকে নানা ভাবে হেনস্থা করতেন। অভিযোগ, চলতি বছরের শুরুতে স্ত্রীর ফোন ধরা বন্ধ করে দেন আব্দুল। এর পরেই আত্মহত্যা করেছেন ওই তরুণী। মৃতার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১৯৪ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। তরুণীকে সত্যিই আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়া হয়েছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy