২০২০ সালে বিয়ে হয় বিস্ময়ার। ছবি সংগৃহীত
গত বছর কেরলের কোল্লাম জেলায় নিজের বাড়িতে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন ডাক্তারি ছাত্রী বিস্ময়া। স্বামীর লাগাতার পণের দাবি এবং অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করেন তিনি। সেই মামলায় বিস্ময়ার স্বামীকে ১০ বছরের জেলের সাজা দিল কোল্লাম আদালত।
আদালত আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে বিস্ময়ার স্বামী কিরণ কুমারকে ছয় বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে। এর সঙ্গে পণ নেওয়ার জন্য আরও দু’বছর এবং পণের দাবি করার জন্য অতিরিক্ত দু’বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। সব সাজাই এক সঙ্গে চলবে বলে আদালত জানিয়েছে। একই সঙ্গে আদালত কুমারকে ১২ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা জরিমানাও করেছে। এই জরিমানা থেকে দু'লক্ষ টাকা দিতে হবে বিস্ময়ার বাবা-মাকে।
২২ বছরের বিস্ময়াকে গত বছরের ২১ জুন কোল্লাম জেলার সাস্তামকোট্টায় তাঁর বাড়িতে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। ঘটনার আগের দিন পণের টাকা দাবি করে তাঁকে মারধরেরও অভিযোগ ওঠে স্বামী কুমারের বিরুদ্ধে। তাঁর শরীরে ক্ষত ও আঘাতের চিহ্নের ছবি বিস্ময়া আত্মীয়দের কাছে হোয়াটঅ্যাপের মাধ্যমেও পাঠিয়েছিলেন। এর পরই বাড়ি থেকে তাঁর দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয়।
তাঁর বাবা দাবি করেন, ২০২০ সালে বিয়ের সময় কুমারকে যৌতুক হিসাবে ১০ লক্ষ টাকা মূল্যের একটি গাড়ি, প্রচুর সোনার গয়না এবং এক একরের বেশি জমি উপহার দিয়েছিলেন।
কিন্তু কুমারের গাড়িটি পছন্দ হয়নি। তিনি আরও ১০ লক্ষ টাকা দাবি করতে থাকেন। বিস্ময়ার বাবা বলেন, ‘‘যখন আমরা তাকে বললাম তা দেওয়া সম্ভব নয়, তখন সে মেয়ের উপর নির্যাতন করতে শুরু করে। অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে আমার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy