Keral High Court Spared Serial Killer Ripper Jayanandan from the Noose dgtl
serial killer
সোনার বালার জন্য কেটে নেয় মৃতদেহের দু’টি হাত! জ্যাক দ্য রিপারের মতোই নৃশংস এই সিরিয়াল কিলার
কয়েক মাস পরে আবার রক্তের নেশা পেয়ে বসে। এ বার ত্রিশূর জেলায় সে হানা দেয় এক দম্পতির বাড়িতে। নির্মম ভাবে খুন করে ৬৪ বছর বয়সি সহদেবন এবং তাঁর স্ত্রী ৫৮ বছরের নির্মলাকে। লুঠ করে তাঁদের সোনার গয়না।
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২৬ মার্চ ২০২০ ১৩:৫২
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৭
ডাকাতির পরে বা আগে নৃশংস খুন। এটাই ছিল তার লুঠপাটের বৈশিষ্ট্য। নৃশংসতার ধরন থেকে তার নাম-ই হয়ে যায় ‘জয়ানন্দন রিপার’।
০২১৭
কেরলের ত্রিশূরের মালা জেলার জয়ানন্দনের জন্ম ১৯৬৮ সালে। ২০০৩ থেকে ২০০৬, এই তিন বছরে ৩৫টি ডাকাতির ঘটনায় তার হাতে প্রাণ দিয়েছেন বহু অসহায়।
০৩১৭
মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ার জন্য সে অপেক্ষা করছিল পূজাপুরা সেন্ট্রাল জেলে। ২০১৩ সালে তাঁর মৃত্যুদণ্ড পরিবর্তিত হয় যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে।
০৪১৭
২০০৩ সালে জয়ানন্দনের নামের পাশে যোগ হয় প্রথম বড় অপরাধ। সে বছর সেপ্টেম্বর মাসে মালা এলাকায় এক ৪৫ বছর বয়সি ব্যক্তি, জনৈক জোসের বাড়িতে হানা দেয় জয়ানন্দন। ঘুমন্ত জোসেকে খুন করে লুঠ করে ১৭ হাজার টাকা এবং একটি ভিডিয়ো ক্যাসেট প্লেয়ার।
০৫১৭
পরের বছর মালা এলাকাতেই আবার ডাকাতির ছক কষে সে। এ বার তার হাতে প্রাণ হারান এক মধ্যবয়সি, দুই তরুণী এবং দুই শিশু।
০৬১৭
কয়েক মাস পরে আবার রক্তের নেশা পেয়ে বসে। এ বার ত্রিশূর জেলায় সে হানা দেয় এক দম্পতির বাড়িতে। নির্মম ভাবে খুন করে ৬৪ বছর বয়সি সহদেবন এবং তাঁর স্ত্রী ৫৮ বছরের নির্মলাকে। লুঠ করে তাঁদের সোনার গয়না।
০৭১৭
তার পরের বছর ডাকাতিতে বাধা দেওয়ায় জয়ানন্দনের হাতে মৃত্যু হয় কেরালা স্টেট বেভারেজ-এর একটি আউটলেটের রক্ষীর। তার মাথায় রড দিয়ে আঘাত করে জয়ানন্দন।
০৮১৭
জয়ানন্দনের অপরাধের মধ্যে ‘বিরলের মধ্যে বিরলতম’ বলা হয়েছে দেবকী-হত্যাকাণ্ডকে। ২০০৬ সালে ধারাল অস্ত্রের সাহায্যে সে খুন করে এর্নাকুলামের বাসিন্দা ৫১ বছর বয়সি দেবকী ওরফে বেবিকে।
০৯১৭
তার পর তিন জোড়া সোনার বালার জন্য দেবকীর নিথর দেহ থেকে দু’টি হাতই কেটে ফেলে। স্বীকারোক্তিতে সে জানিয়েছিল, মৃতদেহ থেকে সোনার বালা খুলে নেওয়ার মতো সময় বা ধৈর্য তার ছিল না!
১০১৭
ঘাতকের হাত থেকে স্ত্রীকে বাঁচাতে গিয়ে আহত হন দেবকীর স্বামী রামকৃষ্ণণ। এখানেই শেষ নয়। চারদিকে কেরোসিন ছড়িয়ে, রান্নার গ্যাস অন করে ঘটনাস্থল পুড়িয়ে দেয় সে।
১১১৭
ডাকাতির সঙ্গে সম্পর্কিত সাতটি হত্যাকাণ্ডে জয়ানন্দনের বিরুদ্ধে প্রমাণ পাওয়া গিয়েছিল। বাকি অপরাধে তার বিরুদ্ধে ডাকাতির অভিযোগ ছিল।
১২১৭
২০০৬ সালে গ্রেফতার করা হয় এই সিরিয়াল কিলারকে। ত্রিশূর আদালত তাকে প্রাণদণ্ড দেয় ২০০৮ সালে।
১৩১৭
পাঁচ বছর পরে রোমহর্ষক ভাবে কারাগার থেকে পালায় ফাঁসির আসামি জয়ানন্দন। তার সঙ্গে ছিল আরও বেশ কয়েক জন কয়েদি।
১৪১৭
সেলের দরজার তালা ভেঙে কয়েদিরা পাঁচিল বেয়ে ওঠে মইয়ের সাহায্যে। তারপর সেখানে চাদরের ফাঁস লাগিয়ে নামে অন্য দিকে।
১৫১৭
এই ঘটনা রক্ষীদের চোখে ধরা পড়ে দেরিতে। কারণ কয়েদিরা এমন ভাবে ঘটনাটি সাজিয়েছিল, দেখে মনে হচ্ছিল যেন তারা সেলের ভিতরে ঘুমোচ্ছে।
১৬১৭
তবে পালিয়ে বেশি দিন জেলের বাইরে থাকতে পারেনি জয়ানন্দন। কয়েক মাস পরে নিজের গ্রাম থেকে কিছু দূরে নেল্লাই জংশনের কাছে দোকানে নিজের সাইকেল সারানোর সময় ধরা পড়ে সে।
১৭১৭
২০১৬ সালে কেরল হাইকোর্টের নির্দেশে জয়ানন্দনের ফাঁসির আদেশ পরিবর্তিত হয় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে। তবে তার এই শাস্তিতে প্যারোলের কোনও সুযোগ নেই। এর্নাকুলামের আদালতে বন্দি রয়েছে এই সিরিয়াল কিলার।
(ছবি: শাটারস্টক ও সোশ্যাল মিডিয়া)