কে চন্দ্রশেখর রাও (ফাইল চিত্র)।
কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে দুর্বল করার অভিযোগ তুলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিলেন তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও। চিঠিতে দেশে ক্রমবর্ধমান মূল্যবৃদ্ধি, বুলডোজারের রাজনীতি প্রভৃতি বিষয়েও সরব হয়েছেন রাও। আগামী ৭ অগস্ট যে তিনি নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন না, প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে তারও উল্লেখ করেছেন তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী।
নীতি আয়োগের প্রকৃত উদ্দেশ্য নিয়ে চিঠিতে প্রশ্ন তুলেছেন রাও। তাঁর মতে, কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলির ক্ষেত্রে রাজ্যগুলির কোনও মতামত নেওয়া হয় না। কেন্দ্র-রাজ্য সমন্বয় বাড়োনোর উদ্দেশ্যেই যে নীতি আয়োগ গঠিত হয়েছিল, কেন্দ্রকে সে কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তেলঙ্গানার এই নেতা বলেন, দেশের নির্দিষ্ট কোনও প্রান্তের যথেষ্ট উন্নতি না হলে তা দেশের সামগ্রিক উন্নতির পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে।
নিজের রাজ্য তেলঙ্গানাকে একটি ‘উন্নয়নশীল রাজ্য’ বলে উল্লেখ করে তাঁর দাবি, উন্নয়নশীল রাজ্যগুলির বরাদ্দ ক্রমশ কমিয়ে দিচ্ছে কেন্দ্র। এই প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, “২০১৬ সালে তেলঙ্গানার একটি সেচ ও পানীয় জল প্রকল্প কেন্দ্রীয় অনুমোদন পেলেও নীতি আয়োগ এখনও তার জন্য অর্থ বরাদ্দ করেনি।”
উল্লেখ্য, বিগত কয়েক মাসে বিজেপি বিরোধিতায় বিশেষ ভাবে ‘সক্রিয়’ হতে দেখা গিয়েছে তেলঙ্গানার রাজনীতিতে ‘কেসিআর’ বলে পরিচিত এই নেতাকে। এই সক্রিয়তার পিছনে তেলঙ্গানার রাজ্য রাজনীতির সমীকরণ লুকিয়ে আছে বলে মনে করছেন তথ্য-অভিজ্ঞ মহলের একাংশ। কংগ্রেসকে সরিয়ে তেলঙ্গানার বিরোধী পরিসরে দ্রুত উঠে আসছে বিজেপি। অবশ্য আঞ্চলিক দলগুলির মধ্যে রাওয়ের দল তেলঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতির মতোই বিজেপি বিরোধিতায় সরব তামিলনাড়ুর ডিএমকে কিংবা তৃণমূল কংগ্রেস রবিবারের নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দিচ্ছে। এই আবহে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে কেন্দ্রীয় নীতির সমালোচনা করে কেন্দ্র-বিরোধিতায় অন্য সুর আনতে চাইছেন কেসিআর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy