বিক্ষোভ: কর্নাটকের বিধানসৌধ চত্বরে গাঁধী মূর্তির পাদদেশে কংগ্রেস নেতাদের অবস্থান। মঙ্গলবার। ছবি: পিটিআই।
কর্নাটকে টালমাটাল পরিস্থিতির মধ্যেই বিধানসভার স্পিকার রমেশ কুমার জানিয়ে দিলেন, কংগ্রেস ও জেডিএসের বিক্ষুব্ধ, দলছুট বিধায়কদের অনেকেই নিয়ম মেনে ইস্তফা দেননি। পদত্যাগী বিধায়কেরা তাঁর সঙ্গে দেখা না করে গণইস্তফা দেওয়ায় সেগুলি গ্রহণ করা হচ্ছে না বলে জানান স্পিকার। রাজ্যপালকে এ নিয়ে চিঠিও লিখেছেন তিনি।
দুপুরেই স্পিকার মন্তব্য করেন, ‘‘আইন মেনে বিধায়কেরা ইস্তফা দেননি। আমার কাছে এসে তাঁদের পদত্যাগ করতে হবে। ১৩টি ইস্তফাপত্রের মধ্যে ৮টি নিয়ম মেনে লেখাই হয়নি।’’ কংগ্রেস ও জেডিএসের ১৩ জন ছাড়াও দু’জন নির্দল বিধায়ক আলাদা ভাবে ইস্তফা দিয়েছেন। এরই মধ্যে কংগ্রেস নেতা সিদ্দারামাইয়া দাবি তোলেন, বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের সদস্যপদ খারিজ করতে হবে। যাতে তাঁরা ছয় বছরের জন্য ভোটে লড়তে না পারেন, তা-ও নিশ্চিত করতে হবে। বিধানসভায় সরকার ও বিরোধী দল বিজেপির সদস্য সংখ্যা প্রায় সমানে সমানে, তাই স্পিকারের সিদ্ধান্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। স্পিকার এ দিন জানিয়ে দেন, আইনি দিক বিবেচনা করেই তিনি ফয়সালা করবেন। রমেশ কুমারের মতে, তিনি যে সিদ্ধান্তই নেবেন, ইতিহাসের পাতায় তা জায়গা পাবে। ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়ার অবকাশ নেই।
কর্নাটকের উত্তাপ ছড়িয়েছে সংসদেও। লোকসভায় বিষয়টি তুলতে চান কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরী। স্পিকার ওম বিড়লা তাতে রাজি হননি। এর পরেই কর্নাটকে অস্থিরতা সৃষ্টির জন্য বিজেপিকে নিশানা করে স্লোগান দিতে থাকেন কংগ্রেস সাংসদরা। গলা মেলান রাহুল গাঁধীও। কর্নাটক নিয়ে উত্তাল হয়েছে রাজ্যসভাও।
দিল্লিতে যখন স্লোগান তুলছেন রাহুল, তখনই বেঙ্গালুরুতে কংগ্রেস পরিষদীয় দলের বৈঠক যেন ভাঙা হাট। উপস্থিতি বাধ্যতামূলক হলেও গরহাজির ছিলেন এক ডজন বিধায়ক। এর মধ্যে তিন জন অসুস্থ বলে দলকে জানিয়েছেন। বৈঠকে হাজির হয়েও সৌম্যা রেড্ডির মতো বিধায়ক ইস্তফার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেননি। সৌম্যার বাবা রামলিঙ্গ রেড্ডি শনিবারই ইস্তফা দিয়েছেন। এর পরে সনিয়া গাঁধীর সঙ্গে দেখা করেন সৌম্যা। অনেকেই ভেবেছিলেন সঙ্কট কেটে যাবে।
কিন্তু আজ সৌম্যার মন্তব্য, ‘‘সরকার বাঁচবে কি না, বলা যাচ্ছে না।’’ কংগ্রেসের ‘দু’মুখো নীতির কারণে এবং দল অবহেলা করাতেই’ তাঁর বাবা ইস্তফা দিয়েছেন বলে জানিয়ে দেন সৌম্যা।
এই অবস্থায় রোশন বেগ-সহ শাসক জোটের আরও কয়েক জন বিধায়কের পদত্যাগের সম্ভাবনা রয়েছে বলেই সূত্রের খবর। পরিস্থিতি সামলাতে গুলাম নবি আজাদকে বেঙ্গালুরুতে পাঠিয়েছেন সনিয়া।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy