পহেলগাঁও কাণ্ড নিয়ে আবার বিতর্কিত মন্তব্য কর্নাটকের এক মন্ত্রীর। আরবি তিম্মাপুর নামে ওই মন্ত্রীর দাবি, গুলি করার আগে কেউ ধর্ম জিজ্ঞেস করতে পারে না। পহেলগাঁওয়ে নিহত কর্নাটকের এক যুবকের স্ত্রীর মানসিক স্থিরতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। পহেলগাঁওয়ে নিহত মঞ্জুনাথের স্ত্রী পল্লবী জানিয়েছেন, গুলি করার আগে জঙ্গিরা ধর্ম জিজ্ঞাসা করেছিল। একই কথা জানিয়েছেন আরও অনেক প্রত্যক্ষদর্শী, যাঁরা জঙ্গি হামলায় নিজের আত্মীয়কে হারিয়েছেন। কংগ্রেসের মন্ত্রী তিম্মাপুর এই নিয়ে প্রশ্ন করার পরে শুরু হয়েছে বিতর্ক।
পহেলগাঁওয়ে গত ২২ এপ্রিলের জঙ্গি হামলায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে নরেন্দ্র মোদী সরকারের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে এবং সাংসদ রাহুল গান্ধী। তবে কংগ্রেসের নেতাদের একাংশ গোয়েন্দাদের ব্যর্থতাকে দায়ী করেছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন তিম্মাপুরও। তাঁর কথায়, ‘‘কার্গিল হোক বা পুলওয়ামা, বা এখানে (পহেলগাঁও), একটা করে (নিরাপত্তা) ব্যর্থতা রয়েছে।’’ প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, পহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকায় গুলি করার আগে পুরুষদের কলমা পড়তে বলেছিল জঙ্গিরা। ধর্ম জিজ্ঞেস করেছিল। এই প্রসঙ্গে তিম্মাপুরের বক্তব্য, ‘‘কে ধর্ম জিজ্ঞেস করে গুলি করে? এটা কি সম্ভব? বাস্তবিক ভাবে ভাবুন। এক জন গুলি চালিয়ে চলেছে, তখন কি তার ধৈর্য থাকবে ধর্ম জিজ্ঞাসা করার।’’ এর পরে পল্লবীর মন্তব্যের সূত্র ধরেই কর্নাটকের শুল্কমন্ত্রী বলেন, ‘‘তিনি বলেছেন, মুসলিমেরা তাঁর সন্তানকে বাঁচিয়েছে। এই দুঃখজনক ঘটনার পরে মহিলার মানসিক স্থিতি কিছুটা নষ্ট হয়েছে। যদি ধর্মই জিজ্ঞাসা করে হত্যা করে তা হলে মুসলিমরাও কেন জঙ্গির গুলিতে মারা যেতেন?’’
এর আগে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া বলেছিলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধ করা উচিত নয়। সে নিয়ে বিরোধী বিজেপির সমালোচনার মুখে পড়ে তিনি বলেন, ‘‘আমি কখনও বলিনি পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধ হওয়া উচিত নয়। যুদ্ধ অবশ্যম্ভাবী হলে তা হবেই।’’ এই নিয়ে কর্নাটক বিজেপির কটাক্ষ, ‘‘পাকিস্তান সংবাদমাধ্যম মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়াকে অভিনন্দন জানাবে, তাঁদের ভালবাসার জন্য।’’ কর্নাটকের মন্ত্রী তিম্মাপুরকেও একহাত নিয়েছে তারা।
- সংঘর্ষবিরতিতে রাজি ভারত এবং পাকিস্তান। গত ১০ মে প্রথম এই বিষয় জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পরে দুই দেশের সরকারের তরফেও সংঘর্ষবিরতির কথা জানানো হয়।
- সংঘর্ষবিরতি ঘোষণার পরেও ১০ মে রাতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে গোলাবর্ষণের অভিযোগ ওঠে। পাল্টা জবাব দেয় ভারতও। ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ ওঠে। তবে ১১ মে সকাল থেকে ভারত-পাক সীমান্তবর্তী এলাকার ছবি পাল্টেছে।
-
‘ওই জঘন্য গোষ্ঠীকে দেশ থেকে সরান’, পাক প্রতিনিধিদলকে পরামর্শ আমেরিকার, সংখ্যালঘু সুরক্ষা নিয়েও আলোচনা
-
কাশ্মীরি পণ্ডিতেরা ঘরে ফেরেন জ্যৈষ্ঠের অষ্টমীতে, ক্ষীর ভবানীর পুজোয় সম্প্রীতির বার্তা
-
‘সিঁদুর’ অভিযানের পর কর্মীদের ছুটি বাতিলের নির্দেশ অবশেষে প্রত্যাহার! নতুন বিজ্ঞপ্তি রাজ্যের
-
কাশ্মীর সমস্যার দ্রুত সমাধান দরকার, এর পর আর কেউ মধ্যস্থতার সময় পাবে না, দাবি পাক সেনাকর্তার
-
বিষয় ‘অপারেশন সিঁদুর’! প্রবন্ধ লিখে মিলবে আর্থিক পুরস্কার, সঙ্গে লালকেল্লায় যাওয়ার সুযোগও