Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
Karnataka

অবশেষে মন্ত্রিসভা গঠন, শপথ নিলেন ইয়েদুরাপ্পা সরকারের ১৭ মন্ত্রী

কন্নড় ভূমে কংগ্রেস ও জেডিএস জোট সরকারের পতনের পর আস্থা ভোটে নিজেদের শক্তি প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছিল বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথও নেন ইয়েদুরাপ্পা।

বিএস ইয়েদুরাপ্পা। ফাইল চিত্র।

বিএস ইয়েদুরাপ্পা। ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
বেঙ্গালুরু শেষ আপডেট: ২০ অগস্ট ২০১৯ ১৪:৫৮
Share: Save:

প্রায় তিন সপ্তাহ হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ গ্রহণ করেছেন। কিন্তু, এত দিন কার্যত একাই রাজ্য চালাচ্ছিলেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পা। অবশেষে, গঠিত হল কর্নাটকের ইয়েদুরাপ্পা সরকারের মন্ত্রিসভা। মঙ্গলবার, মন্ত্রী হিসাবে শপথ গ্রহণ করলেন ১৭ বিধায়ক। এ দিন রাজভবনে তাঁদের শপথ বাক্য পাঠ করান রাজ্যপাল বাজুভাই বালা।

কন্নড় ভূমে কংগ্রেস ও জেডিএস জোট সরকারের পতনের পর আস্থা ভোটে নিজেদের শক্তি প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছিল বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথও নেন ইয়েদুরাপ্পা। কিন্তু, মন্ত্রিসভা গঠন নিয়ে কর্নাটক বিজেপি যে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের দিকেই তাকিয়েছিল তা ইয়েদুরাপ্পার কথাতেই পরিস্কার হয়ে গিয়েছে। সোমবার তিনি বলেন, ‘‘আমি অমিত ভাইয়ের (বিজেপি সভাপতি) থেকে চূড়ান্ত তালিকা পেতে চলেছি। আগামিকালই মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণ করা হবে।’’

মন্ত্রিসভা গঠন নিয়ে কড়া পরীক্ষার মুখে পড়তে হয়েছিল ইয়েদুরাপ্পাকে। শেষপর্যন্ত, মঙ্গলবার, মন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন জগদীশ শেট্টার, গোবিন্দ কারাজোল, অশ্বত্থ নারায়ণ, আর অশোকা, বি শ্রীরামুলু-সহ সতেরো জন। নতুন সরকার আসার পরই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মুখে পড়ে কর্নাটক। রাজ্যে বন্যায় ৮০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। তা নিয়ে বিরোধীদের প্রবল সমালোচনার মুখে পড়ে ইয়েদুরাপ্পা সরকার। রাজ্যে যেন রাষ্ট্রপতি শাসন চলছে বলে অভিযোগও করছিল কংগ্রেস।

আরও পড়ুন: ডেবিট কার্ড তুলে দিচ্ছে এসবিআই! চেয়ারম্যানের ঘোষণায় তোলপাড়, নগদ মিলবে কোথায়? দুশ্চিন্তায় গ্রাহক​

কর্নাটকের লিঙ্গায়েত সম্প্রদায়ের মধ্যে বিজেপির বড় ভোট ব্যাঙ্ক রয়েছে। রাজনৈতিক শিবিরের একাংশের মতে, ইয়েদুরাপ্পার মন্ত্রিসভা গঠনের ক্ষেত্রেও সেই প্রভাব পড়েছে। ১৭ মন্ত্রীর মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী-সহ আট জনই লিঙ্গায়েত সম্প্রদায়ের। বরাবরই উত্তর কর্নাটক বিজেপির শক্ত ঘাঁটি। গত বিধানসভা নির্বাচনেও সেখানকার বেশির ভাগ আসনে জিতেছিল বিজেপি। কিন্তু, ইয়েদুরাপ্পার মন্ত্রিসভায় উত্তর কর্নাটকের প্রতিনিধিদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য ভাবে কম। একই রকম ভাবে হায়দরাবাদ-কর্নাটকের মতো অনুন্নত অঞ্চল থেকে মন্ত্রিসভায় প্রতিনিধি প্রায় নেই বললেই চলে। অথচ, বেঙ্গালুরু শহর এলাকা থেকেই চার জন বিধায়কের মন্ত্রিসভায় ঠাঁই হয়েছে। ২০১২ সালে কর্নাটকে বিজেপি সরকারের সমন্বয় মন্ত্রী ছিলেন লক্ষ্মণ সাভাদি। নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী ছিলেন সিসি পাটিল। তাঁদের দু’জনের বিরুদ্ধে বিধান সৌধে পর্নোগ্রাফি দেখার অভিযোগ উঠেছিল। এ বারের মন্ত্রিসভাতেও তাঁদের স্থান হয়েছে।

আরও পড়ুন: হাসপাতালের পাইপ বেয়ে পালাল বন্দি, ফের গ্রেফতার ব্রিজের তলা থেকে​

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE