রমেশ জারকিহোলি। —ফাইল চিত্র।
সরকারি চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে এক তরুণীর সঙ্গে সহবাসের অভিযোগ উঠল কর্নাটকে মন্ত্রী তথা বিজেপি-সদস্য রমেশ জারকিহোলির বিরুদ্ধে। প্রমাণস্বরূপ ওই মহিলার সঙ্গে অপ্রস্তুত অবস্থায় রমেশের একটি ভিডিয়ো সামনে এসেছে। এর ফলে ফের এক বার অস্বস্তি বাড়ল গেরুয়া শিবিরের। বাধ্য হয়ে পদত্যাগ করতে হয়েছে রমেশকে।
সমাজকর্মী দীনেশ কালাহল্লি ওই ভিডিয়োটি প্রকাশ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, বিদ্যুৎ দফতরে চাকরির লোভ দেখিয়ে ওই তরুণীকে ফুঁসলিয়ে সহবাসে বাধ্য করেছিলেন রমেশ। তরুণীর পরিবারের তরফে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। বেঙ্গালুরুর কব্বন পার্ক থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
নাগরিক হাক্কু হোরাটা সমিতি-র সভাপতি দীনেশ বলেন, ‘‘কমিশনারের সঙ্গে দেখা করে রমেশ জারকিহোলির বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ জানিয়েছি। অত্যন্ত স্পর্শকাতর মামলা। একার পক্ষে লড়া সম্ভব নয়। তাই সাহায্য চেয়ে আমার কাছে এসেছিলেন মেয়েটির পরিবারের লোকজন। চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের পরে নিজের কথাও রাখেননি মন্ত্রীমশাই। মেয়েটির পরিবার বিচার চাইছেন।’’
কর্নাটকের অন্যতম প্রভাবশালী নেতা রমেশ। রাজ্যের উত্তরে বেলগাভি এলাকায় বেশ দাপট রয়েছে তাঁর। খুব শীঘ্র ওই বেলগাভিতে উপনির্বাচন হতে চলেছে। তাই গোটা ঘটনায় অস্বস্তি বেড়েছে বিজেপি-র। তবে ভিডিয়োটি ভুয়ো বলে দাবি করেছেন রমেশ। তাঁর দাবি, ‘‘এটা একটা রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র। ভিডিয়োটি ভুয়ো। ভাল করে তদন্ত হোক। অপরাধীদের গ্রেফতার করে কড়া শাস্তি দেওয়া হোক।’’
কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে গত বছর যে ১৭ জন বিধায়ক বিজেপি-তে যোগ দিয়েছিলেন, রমেশ তাঁদের মধ্যে অন্যতম। রমেশের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পা কোনও মন্তব্য করেননি। তবে রমেশের পাশে দাঁড়িয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী। তাঁর বক্তব্য, ‘‘চটজলদি কোনও সিদ্ধান্তে আসা উচিত নয়। আগে সত্যিটা জানতে হবে। যদি সত্যিই এমন ঘটে, তা হলে অত্যন্ত লজ্জাজনক ঘটনা। রাজনীতিকদের নীতিগত ভাবে সবসময় ঠিক থাকতে হয়।’’
রমেশের বিরুদ্ধে অভিযোগটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বেঙ্গালুরু সেন্ট্রালের ডিসিপি অনুচেত। তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপের দাবি জানিয়ে রাস্তায় নামেন রাজ্যের কংগ্রেস সদস্য ও সমর্থকরা। তবে যৌন কেলেঙ্কারিতে রাজনীতিকদের নাম জড়িয়ে যাওয়ার ঘটনা নতুন নয় কর্নাটকে। কিছু দিন আগে এক পুরুষ সঙ্গীর সঙ্গে বর্তমান সরকারেরই এক মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ ছবি ছড়িয়ে পড়ে নেটমাধ্যমে। আজ থেকে ১০ বছর আগে সদানন্দ গৌড়া নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকারেও একই ঘটনা ঘটে। সে বার রাজ্যের ৩ মন্ত্রীকে বিধানসভায় বসে পর্ন দেখতে দেখা গিয়েছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy