বিধানসভা ভোটের আগে কর্নাটকে বিজেপির অন্দরের ফাটল আরও চওড়া হল। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিধায়ক জগদীশ শেট্টার মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়ে দিলেন, প্রয়োজনে দলের শীর্ষনেতৃত্বের নির্দেশ উপেক্ষা করে ভোটে লড়বেন তিনি।
গত কয়েক দিন ধরেই জল্পনা ছিল, প্রবীণ নেতাদের বড় অংশকে ভোটে না লড়ার ‘বার্তা’ দিয়েছে বিজেপি হাইকমান্ড। মঙ্গলবার সকালে জগদীশ ঘনিষ্ঠ প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী তথা শিমোগার বিধায়ক কেএস এশ্বরাপ্পা ভোটে না লড়ার কথা ঘোষণা করার পরে সেই জল্পনা আরও তীব্র হয়। এর পর জগদীশ জানান, বিজেপি শীর্ষনেতৃত্বের এমন ‘বার্তা’ তাঁর কাছেও এসেছে।
আরও পড়ুন:
হুবলি-ধারওয়ার কেন্দ্রের বিধায়ক জগদীশ সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, ‘‘গত ৬টি বিধানসভা নির্বাচনে আমি ২১ হাজারের বেশি ভোটের ব্যবধানে জিতেছি। আমার দোষ কী? আমি খুবই হতাশ। ইতিমধ্যে আমার নির্বাচনী এলাকায় প্রচারও শুরু করেছিলাম।’’ দল টিকিট না দিলেও তিনি পিছু হঠবেন না জানিয়ে এর পর জগদীশের মন্তব্য, ‘‘আমি আরও জোরদার প্রচার শুরু করব। যে কোনও মূল্যে ভোটে লড়ব।’’ প্রসঙ্গত, ২২৪ আসনের কর্নাটক বিধানসভার ভোট হতে চলেছে ১০ মে। ফলপ্রকাশ ১৩ মে। কংগ্রেস অধিকাংশ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করলেও এখনও বিজেপি প্রার্থিতালিকা প্রকাশ করতে পারেনি।
আরও পড়ুন:
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে দুর্নীতি মামলার জেরে ইয়েদুরাপ্পা মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন। সে সময় মুখ্যমন্ত্রী করেছিলেন তাঁর ঘনিষ্ঠ সদানন্দ গৌড়াকে। কিন্তু কিছু দিনের মধ্যেই দু’জনের সম্পর্কের অবনতি হয়। এর পর বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব মুখ্যমন্ত্রী করে ‘ইয়েদুরাপ্পা বিরোধী’ জগদীশকে। প্রতিবাদে বিজেপি ছেড়ে কর্নাটক জনতা পার্টি গড়ে ২০১৩ সালের বিধানসভা ভোটে লড়েন ইয়েদুরাপ্পা। তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জগদীশের নেতৃত্বে লড়ে কর্নাটকে হারের মুখ দেখতে হয়েছিল বিজেপিকে।