কাঁওয়ার যাত্রা চলছে। —ফাইল চিত্র।
কাঁওয়ার যাত্রীদের গাড়ির সঙ্গে ওভারহেড তারের সংস্পর্শে দুর্ঘটনা। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ন’জন পুণ্যার্থীর মৃত্যু হয়েছে বিহারে। তাঁদের গাড়ির উচ্চতা অনেক বেশি ছিল বলে স্থানীয় সূত্রে দাবি করা হচ্ছে। সেই কারণেই রাস্তার উপরে বিদ্যুৎবাহী তারে গাড়ির উপরের অংশ ছুঁয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে গাড়িতে থাকা যাত্রীরা বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। ন’জনের মৃত্যু হয় ঘটনাস্থলেই। ছ’জন আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বিহারের বৈশালী জেলার হাজিপুর এলাকার ঘটনা। জেঠুই নিজামত গ্রাম থেকে যাত্রা শুরু করেছিলেন ওই পুণ্যার্থীরা। সোনপুর পহলেজা ঘাটে গিয়েছিলেন। সেখান থেকেই ফিরছিলেন রবিবার। তাঁদের গাড়িটি রাস্তার ধারের একটি বৈদ্যুতিক খুঁটিতে ধাক্কা খায়। সেই সময়েই গাড়ির উপরের অংশ বিদ্যুৎবাহী তারের সংস্পর্শে আসে। মুহূর্তে ঘটে যায় দুর্ঘটনা। কাঁওয়ার যাত্রীদের হাজিপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে নয় জনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। বাকি ছ’জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
হাজিপুরের এসডিপিও ওম প্রকাশ জানিয়েছেন, একটি ডিজে গাড়িতে ছিলেন কাঁওয়ার যাত্রীরা। গাড়িটি অনেক উঁচু ছিল। একটি তারে গাড়িটি ছুঁয়ে যায়। সেই কারণেই অঘটন। ঘটনাটি বিশদে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিহার, উত্তরপ্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডে গত ২২ জুলাই, অর্থাৎ শ্রাবণ মাসের প্রথম সোমবার থেকে শুরু হয়েছে কাঁওয়ার যাত্রা। প্রতি বছর এই সময়ে গ্রাম থেকে গঙ্গার জল নিয়ে পুণ্যার্থীরা শিবের মাথায় ঢালতে যান। এ বছর কাঁওয়ার যাত্রা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল।
পুণ্যার্থীদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে কাঁওয়ার যাত্রা নিয়ে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারগুলির তরফে নানা পদক্ষেপ করা হয়েছিল। শুরুতে কাঁওয়ার যাত্রার পথের দু’পাশে খাবার এবং মাংসের দোকান নিয়ে জারি করা হয়েছিল নানা বিধি-নিষেধ। উত্তরপ্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ড সরকারের ওই নির্দেশিকা নিয়ে দেশ জুড়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। দুই রাজ্যের সরকারের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, কাঁওয়ার যাত্রাপথে রাস্তার দু’ধারে যে সব খাবারের দোকান রয়েছে, সেই সব দোকানের বাইরে টাঙানো সাইনবোর্ডে দোকান মালিকের নাম-পরিচয় স্পষ্ট করে লিখতে হবে। ওই বৈষম্যমূলক নির্দেশিকার বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে একাধিক মামলা দায়ের হয়। গত শুনানিতে এই মামলায় উত্তরপ্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ড সরকারের নির্দেশিকার উপর স্থগিতাদেশ জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy