Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
Kamalesh Tiwari

কমলেশের বাড়ির কাছেই হোটেলে উঠেছিল খুনিরা! উদ্ধার রক্তমাখা পোশাক, ব্যাগ

হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজও পরীক্ষা করেন তদন্তকারীরা। এক পুলিশ আধিকারিক জানান, সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে দেখা যায় বৃহস্পতিবার রাতে ওই দুই শুটার হোটেলে চেক ইন করে।

কমলেশ তিওয়ারি (বাঁ দিকে)। সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়া দুই সন্দেহভাজন। ফাইল চিত্র।

কমলেশ তিওয়ারি (বাঁ দিকে)। সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়া দুই সন্দেহভাজন। ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
লখনউ শেষ আপডেট: ২০ অক্টোবর ২০১৯ ১৬:১০
Share: Save:

সুরাতে মিষ্টির দোকান থেকে বাক্স কেনার পর ট্রেনে চেপে কানপুরে আসে দুই শুটার। তার পর সেখান থেকে ট্রেন বদলে বা গাড়িতে চেপে সোজা লখনউয়ে হাজির হয় তারা। তার পর তারা কমলেশ তিওয়ারির বাড়ির কাছেই একটি হোটেল ওঠে। হিন্দু মহাসভার প্রাক্তন নেতার হত্যার তদন্তে নেমে রবিবার এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের হাতে।

এ দিন সকালে সেই হোটেলে অভিযান চালান তদন্তকারীরা। সিসিটিভি ফুটেজে যে দুই সন্দেহভাজনকে গেরুয়া পোশাক পরে কমলেশের বাড়িতে ঢুকতে দেখা গিয়েছিল, ঠিক সে রঙেরই একই রকম পোশাক হোটেল থেকে উদ্ধার করেন তাঁরা। পোশাকগুলোতে রক্তের দাগও মিলেছে। সঙ্গে কয়েকটি ব্যাগও পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজও পরীক্ষা করেন তদন্তকারীরা। এক পুলিশ আধিকারিক জানান, সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে দেখা যায় বৃহস্পতিবার রাতে ওই দুই শুটার হোটেলে চেক ইন করে। শুক্রবার সকালে কুর্তা পরে সঙ্গে হলুদ রঙের একটি ব্যাগ নিয়ে হোটেল থেকে বেরিয়ে পড়ে দু’জনে। পুলিশের ধারণা, ওই ব্যাগেই মিষ্টির প্যাকেট ছিল।

কমলেশ খুন হন ওই দিন দুপুরেই। সূত্রের খবর, সেই ঘটনার কিছু ক্ষণ পরেই ওই দুই ব্যক্তিকে ফের হোটেলে ঢুকতে দেখা যায়। পুলিশের ধারণা, তার পরই হোটেলে গেরুয়া পোশাক ফেলে রেখে সেখান থেকে ফের বেরিয়ে যায় ওই দু’জন। হোটেলে দেওয়া ওই দু’জনের ঠিকানাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের মনে হয়েছে, শুটাররা তাদের আসল ঠিকানাই দিয়েছে হোটেল কর্তৃপক্ষকে। এখন এই দুই শুটারকে খুঁজে বের করাই উত্তরপ্রদেশ পুলিশের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ।

আরও পড়ুন: অধিকৃত কাশ্মীরে বেশ কয়েকটি পাক জঙ্গি ঘাঁটি ওড়াল ভারত, নিহত ৪-৫ পাক জওয়ান

আরও পড়ুন: এক রাতে নাইটক্লাবে উড়িয়েছেন ৮ কোটি! কমল নাথের ভাইপোর বিরুদ্ধে চার্জশিট ইডির

তদন্তকারীরা মনে করছেন, ওই দু’জন গুজরাত বা মহারাষ্ট্রের কোথাও গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে। রাজ্য পুলিশের ডিজি ওপি সিংহ জানিয়েছেন, দুই শুটারের খোঁজে গুজরাত পুলিশের সঙ্গে ইতিমধ্যেই যোগাযোগ করা হয়েছে। মহারাষ্ট্র পুলিশকেও এ বিষয়ে জানানো হয়েছে। বরেলীর কাছে দুই শুটারের শেষ অবস্থান চিহ্নিত করেছে পুলিশ। কিন্তু তার পর থেকে তাদের আর কোনও হদিশই মিলছে না। প্রথামিক ভাবে পুলিশ মনে করছে, খুনের পর বরেলীতে আশ্রয় নেয় ওই দু’জন। তার পর সেখান থেকে পালিয়ে যায়।

উত্তরপ্রদেশ পুলিশের কাছ থেকে তথ্য পেয়ে মহারাষ্ট্র পুলিশ নাগপুর থেকে শনিবারই এক সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতের নাম সৈয়দ আসিম আলি। পুলিশ সূত্রে খবর, কমলেশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গড়ে তোলার অভিযোগ রয়েছে ধৃতের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, ইউটিউবেও কমলেশকে হুমকি দিয়ে ভিডিয়ো পোস্ট করেছিলেন। অন্য দিকে, মোরাদাবাদের ছয় যুবককে জেরা করছে পুলিশ। সূত্রের খবর, এই ছ’জন সুরাত এবং লখনউয়ে নিয়মিত ফোন করত। কাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখত তারা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। রাজ্যের এক তদন্তকারী অফিসার জানিয়েছেন, কানপুর থেকেও এক ব্যক্তিকে আটক করা করা হয়েছে। আততায়ীরা এই ব্যক্তির ফোন থেকেই কমলেশকে ফোন করেছিল। শনিবারের মধ্যে এই হত্যা মামলায় ছ’ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বেশ কয়েকজন সন্দেহভাজনকে জেরাও করছে। একের পর এক গ্রেফতারিতে এই হত্যাকাণ্ডের জাল অনেকটাই যে গুটিয়ে এনেছেন তাঁরা, তেমনটাই দাবি করেছেন উত্তরপ্রদেশের এক শীর্ষ পুলিশ আধিকারিক।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE