ফাইল চিত্র।
বারবার নির্বাচনী আচরণবিধি ভাঙা ও নির্বাচন কমিশনের হুঁশিয়ারিকে অবজ্ঞা করার জন্য তাঁর ‘তারকা প্রচারক’-এর তকমা কেড়ে নেওয়া হয়েছে শুক্রবার। নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে শনিবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন কমল নাথ। তার আগে বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য নিজের পক্ষে যুক্তিও তুলে ধরলেন ফের।
তারকা প্রচারকের তকমা থাকলে তাঁর প্রচারের খরচখরচা বহন করে দল। এবং এর সীমাও নির্ধারিত থাকে না। কিন্তু তারকা প্রচারক না-থাকলে, খরচ মেটাতে হয় ভোটপ্রার্থীর সীমিত ব্যয়বরাদ্দ থেকেই। ফলে প্রচারের সুযোগ কমে আসে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে প্রচারের জন্য কমলের হাতে আদৌ সময় নেই মোটে। মধ্যপ্রদেশে ২৪টি বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন হবে ৩ নভেম্বর। ফলে আগামিকালই শুধু প্রচারের সুযোগ রয়েছে। তা-ও কেন বিষয়টি নিয়ে এত জলঘোলা করা হচ্ছে, এ দিন সেই প্রশ্ন তুলেছেন ৭৩ বছর বয়সি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।
কমলের বিগত ১৫ মাসের সরকারের মন্ত্রী ইমরতী দেবী এখন বিজেপির প্রার্থী। এই দলিত নেত্রীকে ‘আইটেম’ বলা নিয়ে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, সেটাকেই মর্যাদার লড়াই করে তুলেছেন কমল ও বিজেপি নেতারা। কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গাঁধী তাঁর মন্তব্যের সমালোচনা করার পরেও কমল পিছু হটেননি। দুঃখপ্রকাশ করলেও প্রত্যাহার করেননি মন্তব্য। ছাড়েননি ইমরতী দেবীও। এমন নেতাকে দলে না-রাখার অনুরোধ জানিয়েছেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীকে। কমলের মা-বোনকে ‘বাংলার আইটেম’ বলেছেন তিনি। বিজেপি বিষয়টিকে কমলের বিরুদ্ধে অস্ত্র করতে ছাড়ছে না।
আইনি লড়াই শুরু করার পাশাপাশি লোকসভার ন’বারের সাংসদ কমল আজ নিজের পক্ষে যুক্তি দিয়েছেন, “এত বছর লোকসভায় ছিলাম, আলোচ্যসূচিতে বলা থাকে, আইটেম নম্বর ১, আইটেম নম্বর ২... আমার মনে সেটাই রয়েছে। কাউকে অসম্মান করার জন্য কিছু বলিনি। তবু আমি যা বলেছি, তাতে যদি কেউ অপমানিত বোধ করে থাকেন, তবে আমি দুঃখপ্রকাশ করছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy