নকুল নাথ (বাঁ দিকে) এবং কমল নাথ (ডান দিকে)। — ফাইল চিত্র।
জাতীয় রাজনীতিতে এখন অন্যতম আলোচনার বিষয় হল মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা কমল নাথ দল ছাড়ছেন না কি হাত শিবিরেই থাকবেন। সেই জল্পনার এক প্রকার অবসান ঘটিয়ে দিয়েছেন কমল নাথ। মঙ্গলবার কংগ্রেসের বৈঠকে যোগ দিয়েই নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছিলেন মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। শুক্রবার তাঁর গলাতেই শোনা গেল রাহুল গান্ধী স্তুতি। তিনি বলেন, ‘রাহুলই আমাদের নেতা।’ কমল নাথকে নিয়ে জল্পনার অবসান ঘটলেও তাঁর ছেলে নকুল নাথকে নিয়ে ‘জট’ কাটছে না।
মধ্যপ্রদেশে রাহুলের ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’র সফল করার জন্য দলীয় কর্মীদের আহ্বান করেছেন কমল নাথ। সেই সঙ্গে শুক্রবার এই বর্ষীয়ান নেতা বলেন, ‘‘মধ্যপ্রদেশের জনগণ এবং কংগ্রেস কর্মীরা রাহুল গান্ধীর ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’কে স্বাগত জানানো নিয়ে উত্তেজিত। আমাদের নেতা রাহুল রাস্তায় নেমে সারা দেশে চলা অন্যায়, নিপীড়ন এবং শোষণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কথা ঘোষণা করেছেন।’’ এর পরই তিনি বলেন, ‘‘আমি মধ্যপ্রদেশের জনগণ এবং সকল কংগ্রেস কর্মীকে ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’য় যোগ দিয়ে রাহুলের শক্তি বাড়ানোর জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।’’
কমল নাথকে নিয়ে জল্পনার অবসান ঘটলেও নকুল নাথকে নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে হাত শিবিরে। বুধবারই কমল নাথের শক্ত ঘাঁটি ছিন্দওয়ারাতে ভাঙন ধরেছে কংগ্রেসে। প্রায় দেড় হাজার কংগ্রেস নেতা এবং কর্মী বিজেপিতে যোগ দেন। তাঁদের যোগদান কর্মসূচিতে ছিলেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব। সেখানে তিনি বলেছিলেন, ভবিষ্যতে আরও অনেক কংগ্রেস কর্মীই বিজেপিতে আসবে।
এই আবহেই বিজেপির এবং মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসা শোনা যায় নকুলের মুখে। তিনি বলেন, রাজ্যের বিজেপি সরকার ছিন্দওয়াড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করবে। তবে সেই সঙ্গে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে কিছু গুরুতর অভিযোগও তুলেছেন।
অন্য দিকে, কংগ্রেস বার বার দাবি করে আসছে, কমল নাথ এবং নকুল নাথ দলের সঙ্গেই আছেন। কমল-পুত্র নকুল গত শনিবার নিজের এক্স হ্যান্ডল (সাবেক টুইটার) থেকে ‘কংগ্রেস’ পরিচয় মুছে দেওয়ার পরে জল্পনা তৈরি হয় এ বার ছিন্দওয়াড়ার কংগ্রেস সাংসদ এবং তাঁর বাবা বিজেপিতে যোগ দেবেন। শনিবার বিকেলে কমল দিল্লি পৌঁছনোর পরে তাঁর বাড়িতে হঠাৎ কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা বাড়ানোর পরে সেই আশঙ্কা আরও দৃঢ় হয়েছিল কংগ্রেসের অন্দরে। সোমবার সকাল পর্যন্ত তাঁর দিল্লির বাড়ির ছাদে উড়ছিল ‘জয় শ্রীরাম’ লেখা পতাকা। কিন্তু দুপুরে তা নামিয়ে দেওয়া হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy