কমল নাথ। ফাইল চিত্র।
করোনাভাইরাস মোকাবিলার থেকেও মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেসের সরকার ফেলে দেওয়াকে বেশি গুরুত্ব দিতে গিয়ে নরেন্দ্র মোদী সরকার লকডাউন জারি করতে দেরি করেছে বলে অভিযোগ তুললেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ।
কমলের যুক্তি, শিবরাজ সিংহ চৌহান মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পরের দিন, ২৪ মার্চেই প্রধানমন্ত্রী লকডাউনের ঘোষণা করেন। তার আগে পর্যন্ত সংসদের অধিবেশনও চালানো হয়েছিল। যাতে করোনা-সংক্রমণ ঠেকাতে মধ্যপ্রদেশের বিধানসভা অধিবেশন না-চালানোর যুক্তি খারিজ করে দেওয়া যায়। কমল আজ বলেন, “গত ১২ ফেব্রুয়ারি রাহুল গাঁধী প্রথম করোনা নিয়ে সতর্ক করেছিলেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সতর্কবার্তা জারি করার পরেই ১২ মার্চ আমি রাজ্যের সমস্ত স্কুল-কলেজ, শপিং মল বন্ধ করে দিয়েছিলাম। ১৬ মার্চ যখন বিধানসভার স্পিকার ২৬ মার্চ পর্যন্ত অধিবেশন মুলতুবির সিদ্ধান্ত নেন, তখন বিজেপি নেতারা হাসাহাসি করেছিলেন। ‘কোথায় করোনা, কিসের করোনা’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন। মোদী সরকার জাতীয় স্তরেও কোনও পদক্ষেপ করেননি। তাঁরা শুধু আমার সরকার ফেলে নিজেদের সরকার গঠনে ব্যস্ত ছিলেন।”
কংগ্রেসের ২২ জন বিক্ষুব্ধ বিধায়ক পদত্যাগ করায় সরকার বাঁচাতে পারবেন না বুঝে কমল নাথ ১৬ মার্চ পদত্যাগ করেন। ২৩ মার্চ শিবরাজ শপথ নেন। কিন্তু এখনও মন্ত্রিসভা গঠন হয়নি। কমল বলেন, “দেশের মধ্যে মধ্যপ্রদেশে মৃত্যুর হার সব থেকে বেশি। মধ্যপ্রদেশ বোধহয় পৃথিবীর একমাত্র রাজ্য, যে রাজ্যে করোনা-মোকাবিলার সময়েও কোনও স্বাস্থ্যমন্ত্রী নেই, কোনও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নেই। স্বাস্থ্যসচিব করোনা পজ়িটিভ। স্বাস্থ্য দফতরের ৪৫ জন করোনা-পজ়িটিভ।” কমলের বক্তব্য, শিবরাজকেও সরকার চালাতে অসুবিধায় পড়তে হবে। ২২ জন কংগ্রেস বিধায়ক উপনির্বাচনে লড়তে গিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়বেন। স্থানীয় বিজেপি নেতাদের অসন্তোষের জেরে তাঁদের ফের জিতে আসা মুশকিল হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy