এইচ ডি দেবগৌড়ার সঙ্গে তেলঙ্গনার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও। ছবি পিটিআই।
তাঁর রাজ্যে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু তাঁকে স্বাগত জানাতে রাজ্যেই থাকলেন না তেলঙ্গনার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও। মোদীকে এড়িয়ে তিনি চলে গেলেন বেঙ্গালুরুতে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবগৌড়ার সঙ্গে দেখা করতে। সেই সাক্ষাৎ সেরে তীব্র তোপ দাগলেন মোদীর বিরুদ্ধে। বললেন, “বক্তৃতাবাজি অনেক হয়েছে। কিন্তু দেশের অবস্থা দিন দিন খারাপ হচ্ছে। অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষণ নেই। কৃষক, দলিত ও আদিবাসীরাঅসন্তুষ্ট হচ্ছেন।”
এর আগেও এক বার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ এড়িয়ে গিয়েছেন কে সি আর। গত কয়েক দিন ধরে তাঁকে বিরোধী রাজনীতিতে অতিসক্রিয় হতে দেখা গিয়েছে। এর আগে দিল্লি এসে মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়ালের সঙ্গে দেখা করেছেন তিনি। পঞ্জাবে গিয়ে সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মানের সঙ্গে এক মঞ্চে কৃষকদের সঙ্গে সভা করেছেন। আজ তিনি পরে বলেন, “আমি দেবগৌড়া ও কুমারস্বামীর সঙ্গে দেখা করেছিলাম। সব কিছু নিয়েই আলোচনা হয়েছে। শীঘ্রই জাতীয় স্তরে বড় পরিবর্তন হতে চলেছে। কেউ তা ঠেকাতে পারবে না। ভারতে পরিবর্তন আসবে। দেশ বদলাবেই। দেশ যাতে বদলায়, সে জন্য আমাদের সব রকম চেষ্টা করতে হবে।” বেঙ্গালুরুতে দাঁড়িয়েও তাঁকে সাংবাদিকদের বলতে শোনা গিয়েছে, “অপেক্ষা করুন। বড় খবর পাবেন।”
রাজনৈতিক শিবির অবশ্য বলছে, এ সব নিছকই ফাঁকা গর্জন। বিজেপি-বিরোধিতায় তাঁর বিশ্বাসযোগ্যতা কখনওই সে ভাবে তৈরি হয়নি। আগামী বছর তেলঙ্গানায় বিধানসভা নির্বাচন। মানুষের ক্ষোভ জমেছে। কেসিআর-এর পরিবারের বিরুদ্ধে বহু দুর্নীতির অভিযোগ। লোকসভা বা বিধানসভা ভোটের মুখেকেসিআর-কে এর আগেও দেখা গিয়েছে হঠাৎ হঠাৎ বিরোধী জোট নিয়ে তৎপর হতে। রাজ্যবাসীকে এই বার্তা দেওয়াই তাঁর কৌশল যে, তিনি কেন্দ্রে সরকার গড়তে বড় ভূমিকা নিচ্ছেন। অথচ তেলঙ্গনার মোট আসনই মাত্র ১৭টি। স্বাভাবিক ভাবেই সংখ্যার এমন জোর নেই তাঁর যে, বিরোধী জোটে তাঁকে বড় ভূমিকায় দেখা যেতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy