সংসদে সমলিঙ্গে বিয়ের আইনি স্বীকৃতির বিরোধিতা করলেন বিজেপি সাংসদ সুশীলকুমার মোদী। সোমবার রাজ্যসভায় সুশীলের দাবি, ভারতীয় সামাজিক মূল্যবোধ সমলিঙ্গ বিয়ে অনুমোদন করে না। সেই সঙ্গে এ বিষয়ে বিচারবিভাগের এক্তিয়ার নিয়েও কার্যত প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। সুশীলের মন্তব্য, ‘‘মাত্র দু’জন বিচারপতি মিলে এমন গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না।’’
সোমবার রাজ্যসভার জিরো আওয়ারে সুশীল বলেন, ‘‘সমলিঙ্গে বিয়ে সামাজিক বন্ধন ছিন্ন করবে।’’ শুধু বিচারবিভাগের হাতে এ সংক্রান্ত দায়িত্ব ন্যস্ত না করে সংসদে বিষয়টি নিয়ে পূর্ণাঙ্গ বিতর্কেরও দাবি জানান তিনি। বিহারের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য, ‘‘তথাকথিত কিছু উদারপন্থী এ বিষয়ে অন্ধ ভাবে পশ্চিমী সংস্কৃতি অনুকরণ করতে চাইছে।’’
আরও পড়ুন:
সম্প্রতি সমলিঙ্গে বিয়ের আইনি অধিকার প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রের মত জানতে ছেয়েছে। তারই প্রেক্ষিতে সংসদে এই মন্তব্য করেন সুশীল। প্রসঙ্গত, দু’বছর আগে একটি জনস্বার্থ মামলার জেরে দিল্লি হাই কোর্ট সমলিঙ্গের বিয়েকে আইনি স্বীকৃতি দেওয়া নিয়ে কেন্দ্রের মত জানতে চেয়েছিল। সে সময় সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা আদালতকে জানিয়েছিলেন, ১৯৫৬-র হিন্দু বিবাহ আইনের আওতায় সমলিঙ্গের বিয়েকে নথিবদ্ধকরণের আইনি অনুমোদন দেওয়ার প্রস্তাবে কেন্দ্রের সায় নেই।
আরও পড়ুন:
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে সুপ্রিম কোর্ট সমকামিতাকে আইনি অপরাধের তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার ঐতিহাসিক রায় ঘোষণার পরে কংগ্রেস-সহ বিভিন্ন দল স্বাগত জানিয়েছিল। কিন্তু সে সময় মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন বিজেপি নেতৃত্ব। ব্রিটিশ আমলে তৈরি ১৮৬১ সালের ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৭ ধারায় সমকামী যৌন সম্পর্ককে অপরাধের তকমা দেওয়া হয়েছিল। একে ‘অসাংবিধানিক’ বলে খারিজ করে দিয়ে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন সাংবিধানিক বেঞ্চের ওই রায়ে বলা হয়েছিল, ৩৭৭ ধারা সমকামীদের সমানাধিকারের পরিপন্থী।