নয়াদিল্লি, ১৭ এপ্রিল: দলীয় সভাপতি নির্বাচন চূড়ান্ত করতে আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠকে বসলেন বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব। সূত্রের মতে, প্রধানমন্ত্রীর বাড়িতে হওয়া ওই বৈঠকে জাতীয় সভাপতি ছাড়াও
বিভিন্ন রাজ্য সভাপতিদের নাম চূড়ান্ত করা এবং মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
গত দু’দিন ধরেই নিজের উত্তরসূরি খুঁজতে দলীয় শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করছিলেন বর্তমান বিজেপি সভাপতি জে পি নড্ডা। গত কাল রাতেও অমিত শাহের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় বসেন
তিনি।
সূত্রের মতে, তার পরেই আজ সকালে মোদীর বাসভবনে সভাপতি প্রশ্নে ঐকমত্যে পৌঁছতে বৈঠকে বসেন নড্ডা, শাহ, রাজনাথ সিংহ, ও বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বি এল সন্তোষ।
বৈঠকে সম্ভাব্য সভাপতি হিসেবে হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর, মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহানের পাশাপাশি ধর্মেন্দ্র প্রধান, ভূপেন্দ্র যাদবের নাম নিয়েও আলোচনা হয়েছে। দলীয় পর্যায়ে রদবদল ছাড়াও মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ নিয়েও আজকের বৈঠকে আলোচনা হয়। খট্টর বা চৌহান বিজেপি সভাপতি হলে সে ক্ষেত্রে তাঁদের কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পদ ছেড়ে দিতে হবে। ওই পদের দায়িত্ব কাকে দেওয়া যায় তা নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি সদ্য এনডিএ-তে যোগদান করা এডিএমকে-কে মন্ত্রিসভার অন্তর্ভুক্ত করা নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়। তৃতীয় মোদী মন্ত্রিসভায় দাবি
মতো পদ না মেলায় শপথ নেননি এনসিপি (অজিত পওয়ার গোষ্ঠী) নেতা প্রফুল্ল পটেল। মন্ত্রিসভার আসন্ন সম্প্রসারণে তাঁকে কোন মন্ত্রকের দায়িত্ব দেওয়া যেতে পারে, তা নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়।
বিজেপিতে জাতীয় সভাপতি বেছে নেওয়ার প্রক্রিয়া সরকারি ভাবে তখনই শুরু হওয়া সম্ভব, যখন দেশের অন্তত পঞ্চাশ শতাংশ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে রাজ্য সভাপতি পদে নির্বাচন সাঙ্গ হবে। এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ও রাজ্য মিলিয়ে ১৪ জন রাজ্য সভাপতির নাম চূড়ান্ত হয়েছে। বাকিদের মধ্যে
উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, কর্নাটক, পশ্চিমবঙ্গের মতো বড় রাজ্যে দ্রুত সভাপতি বেছে নেওয়ার কাজ সেরে ফেলার প্রস্তুতি শুরু গিয়েছে দলের অভ্যন্তরে।
সূত্রের দাবি, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ ও কর্নাটকে সভাপতি পদে রদবদল আসন্ন হলেও পশ্চিমবঙ্গে সম্ভবত বিধানসভা ভোটের কথা মাথায় রেখে সভাপতি না পাল্টানোর পথেই হাঁটতে চাইছেন বিজেপি নেতৃত্ব। বর্তমান সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকেই আপাতত সভাপতি হিসেবে আরও এক বছর দায়িত্ব দেওয়ার কথা ভাবছেন তাঁরা।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)