সিদ্দিক কাপ্পান। —ফাইল চিত্র।
শৌচাগারে পড়ে গিয়ে আঘাত পেয়েছেন আগেই। তার উপর করোনা সংক্রমণও ধরা পড়েছে। সেই অবস্থায় স্বামীকে হাসপাতালের শয্যার সঙ্গে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ করলেন হাথরসকাণ্ড নিয়ে খবর করতে গিয়ে উত্তরপ্রদেশে ধৃত কেরলের সাংবাদিক সিদ্দিক কাপ্পানের স্ত্রী রিহান্থ কাপ্পান। এই বিষয়ে বিচার চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এনভি রমণের কাছে একটি আবেদন জমা দিয়েছেন তিনি। তাতে হাসপাতাল থেকে মথুরা জেলে স্বামীকে ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন তিনি।
২০২০ সালের অক্টোবরে হাথরস গণধর্ষণকাণ্ড নিয়ে খবর করতে গিয়ে গ্রেফতার হন কেরলের ‘আঝিমুখম’ পোর্টালে কর্মরত সিদ্দিক এবং তাঁর ৩ সহকর্মী। বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধী আইনে (ইউএপিএ) গ্রেফতার করা হয় তাঁদের। আনা হয় দেশদ্রোহের মামলাও। সেই থেকে মথুরা জেলে বন্দি ছিলেন সিদ্দিক। সম্প্রতি জেলের শৌচাগারে পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত পান তিনি। পরে কোভিড সংক্রমণ ধরা পড়ে তাঁর। সেই অবস্থায় মথুরার কৃষ্ণমোহন মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয় তাঁকে।
কিন্তু আইনজীবী উইলস ম্যাথিউয়ের মাধ্যমে শীর্ষ আদালতে যে আবেদন জমা দিয়েছেন রিহান্থ, তাতে তাঁর অভিযোগ, ‘বর্তমানে পশুর মতো আচরণ করা হচ্ছে সিদ্দিক কাপ্পানের সঙ্গে। হাসপাতালের শয্যার সঙ্গে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে তাঁকে। ঠিকমতো খেতেও দেওয়া হয় না। গত ৪ দিনে এক বারও শৌচাগার ব্যবাহর করতে দেওয়া হয়নি তাঁকে। ওঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। এখনই ব্যবস্থা না নিলে, অকালে ওঁর মৃত্যু হতে বাধ্য’। জামিনের আবেদন মঞ্জুর না হওয়া পর্যন্ত সিদ্দিককে মথুরার জেলে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন রিহান্থ।
কেরল ইউনিয়ন অব ওয়ার্কিং জার্নালিস্টস সংগঠনের দিল্লি শাখার সম্পাদক সিদ্দিক। তাঁর মুক্তি চেয়ে ইতিমধ্যেই শীর্ষ আদালতে আবেদন জানিয়েছে ওই সংগঠন। ৯ মার্চ সেটির শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও, এখনও আদালতের খাতায় ওঠেইনি আবেদনটি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy