ভূমিধসের কারণে বেশি মানুষের ক্ষতি হয়নি! জোশীমঠের ৬৫-৭০ শতাংশ মানুষ স্বাভাবিক জীবনযাপন করছেন। গাড়োয়াল হিমালয়ের এই জনপদ নিয়ে বুধবার এমনটাই মন্তব্য করলেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিংহ ধামী। মুখ্যমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন যে, আগামী ৪ মাসের মধ্যে চারধাম যাত্রা শুরু হয়ে যাবে।
জোশীমঠের পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করার পরে ধামী জানিয়েছেন, বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবেলায় কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে সমস্ত সহায়তার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘‘জোশীমঠের ৬৫-৭০ শতাংশ মানুষ স্বাভাবিক জীবনযাপন করছে। পর্যটকদের বিশেষ আকর্ষণ আউলিতে সব কিছু স্বাভাবিকভাবেই চলছে। পর্যটকরা এখনও আউলিতে আসছেন।’’
তিনি উল্লেখ করেন, জোশীমঠের পরিস্থিতির কারণে আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই এবং দেশের অন্য অংশে বসে থাকা মানুষদের এ বিষয়ে মন্তব্য করা অনুচিত।
পাশাপাশি ধামী যোগ করেন, ‘‘আগামী চার মাসের মধ্যেই চারধাম যাত্রা শুরু হবে।’’
মুখ্যমন্ত্রী ধামী জোশীমঠের বিশেষ ক্ষতি হয়নি বলে জানালেও, বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, জোশীমঠের মানুষদের অবস্থা বেহাল। ভিটে খুইয়ে অনেকেরই পাকাপাকি ঠাঁই হয়েছে রাস্তায়। মৃত্যুভয়েও বাড়ি ছেড়েছেন অনেকে। উল্লেখযোগ্য যে, এর আগে উত্তরাখণ্ড সরকার নিজে থেকেই জোশীমঠকে ‘বসবাসের অযোগ্য’ বলে ঘোষণা করেছিল।
ধামী জানিয়েছেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে জোশীমঠে ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ ও পুনর্বাসনের বিষয়ে কথা হয়েছে।
দেহরাদূনে জারি করা একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘শহরের পঁচিশ শতাংশ এলাকা এখন পর্যন্ত ভূমিধসে প্রভাবিত। এই এলাকাগুলিতে বসবসাকারী জনসংখ্যা প্রায় ২৫ হাজার।’’
প্রসঙ্গত, ২ জানুয়ারি থেকে শুরু করে বিগত কয়েক দিনে জোশীমঠের ৮০০-রও বেশি বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে। চওড়া ফাটল দেখা গিয়েছে শহরের রাস্তা-মন্দির-জমিতে। আতঙ্কে রাতারাতি ভিটেমাটি ছাড়া সেই শহরের বহু মানুষ। ঠাঁই হয়েছে আশ্রয় শিবিরে। এখনও পর্যন্ত প্রায় ২৫০টি পরিবারকে ত্রাণ শিবিরে পাঠানো হয়েছে। তবে এই পরিস্থিতির জন্য প্রশাসনের তরফে করা উন্নয়নকেই দায়ী করেছেন স্থানীয়রা।