বুধবার রাতে মুখ্যমন্ত্রী জোশীমঠে গিয়েছিলেন। কথা বলেন সেখানকার মানুষজনের সঙ্গে। ছবি: পিটিআই ।
জোশীমঠ জনপদের ‘মাত্র’ ২৫ শতাংশ বাড়িতে ফাটল ধরেছে বলে দাবি করলেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিংহ ধামী। একই সঙ্গে দাবি করেন, জোশীমঠ নিয়ে ভয় ধরানো হচ্ছে। অনেক মিথ্যা রটনা হচ্ছে। তাঁর আবেদন, ‘‘গুজবে কান দেবেন না, গুজব রটাবেন না।’’ বুধবার রাতে মুখ্যমন্ত্রী জোশীমঠে গিয়েছিলেন। কথা বলেন সেখানকার মানুষজনের সঙ্গে। তার পরই এই মন্তব্য করলেন তিনি।
পাশাপাশি, জোশীমঠের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার মধ্যেই ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি-কে ধামী জানিয়েছেন।
ভিটে ছাড়ার ক্ষতিপূরণ হিসাবে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে প্রাথমিক ভাবে দেড় লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে বলে সরকারের তরফে আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল। সেই প্রসঙ্গেই মুখ্যমন্ত্রী ধামী বলেন, ‘‘বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার মধ্যে বাড়ি ছাড়তে বলা পরিবারগুলিকে ক্ষতিপূরণ হিসাবে দেড় লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘জোশীমঠের পর রাজ্য সরকার উত্তরাখণ্ডের বাকি শহরগুলিও পরীক্ষা করে দেখছে যেখানে একই রকমের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। এই এলাকাগুলির মাটি কতটা ওজন নিতে পারবে, সে পরীক্ষাও করা হচ্ছে। সেই অনুযায়ী, আমরা পদক্ষেপ করব।’’
প্রসঙ্গত, ২ জানুয়ারি থেকে শুরু করে বিগত কয়েক দিনে জোশীমঠের ৭০০-র-ও বেশি বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে। চওড়া ফাটল দেখা গিয়েছে সেই শহরের রাস্তা-মন্দির-জমিতে। আতঙ্কে রাতারাতি ভিটেমাটি ছাড়া সেই শহরের বহু মানুষ। ঠাঁই হয়েছে আশ্রয় শিবিরে। এখনও পর্যন্ত প্রায় ১৩১টি পরিবারকে ত্রাণ শিবিরে পাঠানো হয়েছে। জোশীমঠকে ‘বসবাসের অযোগ্য’ বলেও ঘোষণা করেছে উত্তরাখণ্ড সরকার।
তবে এই পরিস্থিতির জন্য প্রশাসনের তরফে করা উন্নয়নকেই দায়ী করেছেন স্থানীয়রা। পাশাপাশি ক্ষতিপূরণ না পেলে তাঁরা বাড়ি ছেড়ে এক পা-ও নড়বেন না বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন তাঁরা। সেই দাবিকেই স্বীকৃতি দিয়ে বৃহস্পতিতে সরকারের তরফে এই ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy